জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৭ ও সৃজনশীল মেধা অন্মেষণ প্রতিযোগিতা
মেধাবীরা কখনও পিছিয়ে থাকে না —-প্রফেসর ফাহিমা খাতুন
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (গ্রেড-১) প্রফেসর ফাহিমা খাতুন বলেছেন, মেধাবীরা কখনও পিছে থাকে না, কোন না কোন সময় তাদের মেধার বিকাশ ঘটবেই। শহরের পাশাপাশি গ্রাম অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও অনেক ভাল ফলাফল বয়ে আনতে পারে। তাদের সঠিক পরিচর্যা করতে পারলেই তারা মেধা বিকাশ ঘটাতে পারবে।
সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগীতায় শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপজেলা পর্যায়ে সেরা নয় সারা বাংলাদেশের মধ্যে সেরা হতে হবে। যারা ভালো মানের লেখা পড়া করে তারা অবশ্যই জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে। লেখা পড়ার প্রতি অবশ্যই গুরত্ব দিবে।
তিনি ১৪ মে ২০১৭, রোববার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ হলে“মে সৃজনশীল মেধা অšে^ষণ প্রতিযোগিতা ও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৭ উপজেলা পর্যায়ে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।1
তিনি আরো বলেন, মাদক, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিংকে সম্পূর্ণ না বলতে হবে। আমাদের সমাজে মেয়েদেরকে অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দিলে তাদের জীবনে অনেক কষ্ট ও অন্ধকার নেমে আসে। তাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ না করে বিয়ে দিলে তার মধ্যে সচেতনতাবোধ জাগ্রত হয়না।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ হানিফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ এস এম শফিকুলাহ্, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডঃ তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য্য। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শফিকুর রহমান। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার শ্রেষ্ঠ কলেজের পুরস্কার গ্রহণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ হানিফ, শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ের পুরস্কার গ্রহণ করেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন, শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষের পুরস্কার গ্রহণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ এস এম শফিকুলাহ্, শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষকের পুরস্কার গ্রহণ করেন নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।