মেড্ডায় ঘরে ঢুকে কিশোরীর গলা, দুই হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘরে ঢুকে সামিয়া (১৫) নামের এক কিশোরীকে গলা, দুই হাত ও দুই পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের মেড্ডা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সামিয়া জেলার সরাইল উপজেলার ইসলামাবাদ (গোগদ) গ্রামের রাশেদ মিয়ার মেয়ে। সে জেলা শহরের মেড্ডায় বড় বোনের বাসায় থেকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন।
হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সামিয়ার বোন সকালে তাকে ও তার এক ভাগ্নিকে বাড়িতে রেখে বাজারে যায়। সামিয়াকে ঘরে রেখে তার ভাগ্নি ছাদে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই সামিয়ার আর্তচিৎকার শুনতে পেয়ে বাড়িওয়ালাসহ প্রতিবেশিরা দৌড়ে তার কক্ষে যান। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান সামিয়া মেঝেতে পড়ে ছটফট করে কান্না করছে। তার গলা, দুই হাত ও পায়ের রগ কাটা। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাকে সার্জারী বিভাগে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে আসেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক (তদন্ত)সহ পুলিশের একটি দল। এদিকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার হাবিবুর রহমান জানান, আহত কিশোরী আশংকামুক্ত রয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেছে। হামলাকারীকে তারা কাউ দেখেনি। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। দ্রুতই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।