Main Menu

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উদ্যোক্তা সদস্য হলেন উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি এবং অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন

+100%-

DSC_0037

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উদ্যোক্তা সদস্য হলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন। গত শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের হাতে মোকতাদির চৌধুরী পাঁচ লাখ টাকা এবং ফাহিমা খাতুন তিন লাখ টাকা অনুদান হিসেবে তুলে দিয়েছেন।
অনাড়ম্বর কিন্তু অত্যন্ত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক মফিদুল হক। অনুষ্ঠানে জাদুঘরের ট্রাস্টিদের মধ্যে কবি-স্থপতি রবিউল হুসাইনও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর জাতির গৌরবের প্রতিষ্ঠান এবং নতুন ও নিজস্ব ভবনে গিয়ে জাদুঘর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস উপস্থাপনে আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। যুদ্ধাহত এই মুক্তিযোদ্ধা একাত্তরের যুদ্ধদিনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি জনযুদ্ধ। আপামর মানুষ এই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। একইভাবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গড়া এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠাও আরেকটি জনযুদ্ধের মতো। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের যখন যাত্রারম্ভ হয়েছিল, তখন সময়টা ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার কাল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এল,জাদুঘরও পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু করল। সেই থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পুনরুদ্ধার, ইতিহাসের উপকরণসংগ্রহ এবং নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। এতদিন অস্থায়ী ভবনে চলেছে জাদুঘর। এবার নিজ ভবনে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। এই জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমি জাদুঘর নির্মাণে যথাসাধ্য অবদান রাখার প্রয়াস নিয়েছি এবং আশা করছি আরো অনেকেই এমন সহায়তা দিতে এগিয়ে আসবেন। আমি অন্যদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানাব এবং নিজেও নানাভাবে ভূমিকা রাখতে চেষ্টা করব।
র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর স্ত্রী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন বলেন, আমি যৎসামান্য অনুদান দিতে পেরেছি। তবে আমি মনে করি, এই যাবৎকালে যত ভালো কাজ করেছি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অনুদান দিতে পারাটা তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। তিনি জাদুঘরের উপস্থিত দুই ট্রাস্টির নাম উল্লেখ করে বলেন, তারা দেশের প্রগতিশীল আন্দোলনের শ্রদ্ধেয় ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন তার বক্তব্যে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে নিজের মিতা বলে অভিহিত করে বলেন, প্রায় কিশোর অবস্থায় যুদ্ধে গিয়েছিলেন রবিউল। যুদ্ধে আহত হয়েছেন, কিন্তু আরো সব যোদ্ধার মতো বিজয়ী হয়েই ফিরেছেন। পরবর্তীকালে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর প্রতিরোধ যুদ্ধেও রেখেছেন অগ্রসেনানীর ভূমিকা। যখন ছাত্রলীগের নাম নেওয়া ছিল কঠিন, তখন তিনি ছাত্রলীগে কা-ারীর ভূমিকা পালন করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে মফিদুল হক মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুনকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দেন। তিনি মোকতাদির চৌধুরীর কাছে আহ্বান জানান তিনি যেন অন্যদেরকেও জাদুঘরে অনুদান দিতে উৎসাহিত করেন। একইভাবে ফাহিমা খাতুন তার বক্তব্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে জাদুঘরের জন্য অনুদান সংগ্রহে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করবেন বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার জন্য ধন্যবাদ দেন।






Shares