মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ হবে মীমের অসহায় পরিবারের
মানবিক বিবেচনায় অসহায় শিক্ষার্থী মীমের পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান
ষ্টাফ রিপোর্টার ॥ গতকাল সোমবার ২২ জানুয়ারি ০৯ মাঘ, ০৫ জমাদিউল আউয়াল, ১৭৭তম সংখ্যা দৈনিক আজকের ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র প্রথম পাতায় “আগুনে পুড়ে অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পারায় ৫ম শ্রেণীতে এসে কি মীমের লেখা পড়ার সমাপ্তি ঘটবে! সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা” এবং দৈনিক সরোদ ও দিনদর্পনের প্রথম পাতায় অর্থের অভাবে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী মীমের লেখা পড়ার সমাপ্তি ঘটবে! শিরোনামে সচিত্র রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এই রিপোর্টটি প্রকাশিত হওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান মোবাইল ফোনে দৈনিক সরোদ সম্পাদক পীযূষ কান্তি আচার্যকে বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাখাতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করছে। আর টাকার অভাবে মীমের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে এটি মেনে নেওয়া যায় না। এখন থেকে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী মীমের দায়িত্ব আমি নিলাম। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান মীমসহ তার পরিবারের সাথে দেখা করে মীমের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টি জেলা প্রশাসক আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন।
উল্লেখ্য, শহরের শিমরাইলকান্দি খাদ্য গুদামের পাশের আবু সালেক মিয়ার বাড়ির ভাড়াটে অধিবাসী রিক্সা চালক রোমান মিয়ার স্ত্রী শুরুফা বেগম জানান, গত তিন বছর আগে গ্যাসের চুলা থেকে আগুন লেগে রিক্সা চালক রোমান মিয়ার কন্যা মোসাঃ মীম (১০) এর শরীরের প্রায় ৩০% পুরে যায়। তাদের ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে। মীমই হলো সংসারের বড় সন্তান। সে বর্তমানে শিমরাইলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। তার মা শুরুফা বেগম মানুষের বাসায় কাজ করে। বর্তমানে মীমের মা বাবার সিদ্ধান্ত, মীমকে আর স্কুলে পাঠাবেনা। তাহলে কি ৫ম শ্রেণীতে এসে মীমের পড়া লেখার সমাপ্তি ঘটবে? মীমের মায়ের সাথে সাক্ষাৎ করে স্কুলে না পাঠানোর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমাদের অভাবের সংসার। ৬ জন মানুষের ভরন পোষন যোগাতেই হিমশীম খেতে হয় রিক্সা চালক রোমান মিয়ার। তাছাড়া মেয়েটার শরীরে পোড়া জখম এর যে মর্মান্তিক অবস্থা বড় হলে কে বিবাহ করবে আমার মেয়েকে, কি হবে তার। ঠিক সে সময়েই অসহায় মীমের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান।