ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খুদে গণিতবিদদের সংবর্ধনা
ভারত বাংলাদেশের শিশুদের মিলনমেলা দুদেশের মৈত্রীর বন্ধন সুদৃঢ় করবে-পুলিশ সুপার
….অল্প বয়সে গণিতে বিশেষ ভাবে দক্ষ ভারতের ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চার থেকে ১৪ বছরের খুদে গণিতবিদদের মিলন মেলা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। গতকাল রোববার জেলায় এই প্রথম দুদেশের শিশুদের মৈত্রীর বন্ধন সুদৃঢ় করতে জেলা পুলিশের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে ভারতের ত্রিপুরা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেয় এবং ৬০ জন মেধাবী শিশুকে সম্মাননা ও পুরস্কৃত করা হয়। জেলা পুলিশ লাইন মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম(বার)।
সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসএসআইটি এট ইডিও এর প্রতিষ্ঠাতা , আলোহা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিইও অশোকাফেলো মোঃ মাতিন আহমেদ। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আলোহা’র সিইও দল নেতা রনবীর রায়।
অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস কাবের সিনিয়র সহ সভাপতি আল আমীন শাহীন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার সোনিয়া পারভীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস কাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন জামি, আখাউড়া প্রেস কাবের সভাপতি মোহাম্মদ মানিক মিয়া।বক্তব্যরাখেন ত্রিপুরার সুজিত রায়, মহুয়া চৌধুরী,গণিতবিদ দেবপ্রিয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণিতবিদ ঐশী জান্নাত প্রমুখ।অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন ডি আই ওয়ান নবীর হোসেন, এটিএন নিউজের পূর্বাঞ্চল ব্যুরো প্রধান পিযুষ কান্তি আচার্য, দৈনিক কুরুলিয়ার সম্পাদক ইব্রাহিম খান সাদাত, সময় টিভির ব্যুরো প্রধান উজ্জ্বল চক্রবর্তী, নতুন মাত্রার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোঃ ইকরামুল হক রুবেল সহ শিশু শিক্ষার্থী, শিক্ষক অভিভাবক বৃন্দ। অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার খুদে গণিতবিদদের ফুলেল অভ্যর্থনা জানান। পরে গণিতের বিশেষ ডিসপ্লে প্রীতি ভোজ অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম (বার) প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, আজকের শিশুদের আগামী বিশে^র জন্য যথাযথভাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব সকলের। আলোহা বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের খুদে গণিতবিদদের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কোমলমতি শিশুদের মেধা বিকাশে অনন্য ভ’মিকা রাখছে। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের মধ্যের মৈত্রীর বন্ধন রয়েছে। ত্রিপুরা আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিশুদের মধ্যে মৈত্রীর বন্ধন সুদৃঢ় করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই আয়োজন হয়েছে। এই মিলনমেলা দুদেশের মৈত্রীর বন্ধনকে দিন দিন সুদৃঢ় করবে।
তিনি বলেন, মৈত্রী সম্প্রীতি শিক্ষা মেধার বিকাশের মাধ্যমে এই শিশূরা আগামী দিনে বিশে^ নেতৃত্ব দিবে বলে আমি আশাবাদী।
অনুষ্ঠানে আলোহা ত্রিপুরার পক্ষ থেকে পুলিশ সুপারকে স্মারক শুভেচ্ছা জানান হয়। ত্রিপুরা থেকে আগত বক্তারা বাংলাদেশের আথিতিয়তায় মুগ্ধ হয়ে বলেন এমন আয়োজন দুদেশের মৈত্রীকে সুদৃঢ় করবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলোহা সিইও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আর্ন্তজাতিক শিশু শিক্ষা উৎসবের ঘোষণা দিলে সবাইকে স্বাগত জানান।
দুপুরে শিশুদের প্রতিনিধি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌছে এবং বিকেল পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দেয় পরে বিকেলে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ত্যাগ করে।
আলোহার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিইও মাতিন আহমেদ জানান , দ্রুত ও নির্ভুল সংখ্যা গণনার দতা সম্পন্ন ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের দেড় হাজার শিশু ঢাকায় আলোহা বাংলাদেশের আয়োজনে মেন্টাল অ্যারিথমেটিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এবং ৪ থেকে ১৪ বছরের শিশুরা মনে মনে অ্যাবাকাস কল্পনা করে ৫ মিনিটে ৭০টি জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করে। তিনি জানান,আলোহা সংখ্যা গণনা ও গণিত শেখার একটি আর্ন্তজাতিক সংগঠন। এটি বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চীন, ভারত, মালয়েশিয়া সহ ৩৫টি দেশের ৫০ লাখের বেশি শিার্থীদের সঙ্গে কাজ করছে।
মেন্টাল অ্যাবাকাস পদ্ধতি সংখ্যা গণনা, নিখুঁত পর্যবেণ, শ্রবণ, স্মৃতিধারণ মতা, বিশ্লেষণী দতা ও কল্পনাশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। শিশুরা খেলার ছলে দ্রুত ও নির্ভুল গণিত শেখে।