ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক এ.বি.এম মোমিনুল হক এবং জেলা যুবদল সদস্য শরিফ হোসেন এর গ্রেফতারের প্রতিবাদে জেলা বিএনপির তাৎক্ষনিক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৭:৪৫ মিনিটে শহরের পাওয়ার হাউজ রোড থেকে জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক আলহাজ্ব এ.বি.এম মোমিনুল হক এবং জেলা যুবদলের সদস্য সাবেক এজিএস শরীফ হোসেনকে বিনা কারনে বর্তমান সরকারের পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারের প্রতিবাদে গত শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকায় তাৎক্ষনিক যৌথ সভার আহবান করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি।
জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান মোল্লা (কচির) সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহিরুল হক খোকন (জহির) এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান, এডঃ গোলাম সারওয়ার ভূয়া খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আজিম, দপ্তর সম্পদ মোঃ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী লিটন, নিয়ামুল হক, আল-আমিন লিটন, জেলা যুবদলের আহবায়ক মুনির হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ সহ অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক আলহাজ্ব এ.বি.এম মোমনিুল হক এর নামে অদ্যবধি কোন মামলা না থাকা সত্ত্বেও তাকে বিনা কারনে গ্রেফতার করে বর্তমান সরকারের কুরুচিপূর্ণ রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটানো হয়েছে। নেতৃবৃন্দ এই গ্রেফতারের তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানান, পাশাপাশি গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন।
এখানে উল্লেখ থাকে যে, ২০১৬ সালে ঘটে যাওয়া কান্দিপাড়া জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলা সংক্রান্ত একটি পুরাতন মামলায় আলহাজ্ব এ.বি.এম মোমিনুল হককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। যা অত্যান্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন দেশে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকার বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে অগ্রহণযোগ্য রায় প্রদান করার চেষ্টা করে বিএনপিকে আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখার উদ্দেশ্যে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার, হামলা, মামলা ও নির্যাতন চালিয়ে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে বেপুরোয়া হয়ে ওঠেছে। তাই আমাদেরকে অত্যান্ত ধৈর্য্যরে সাথে তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং যেকোন অশুভ পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সবশেষে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাৎক্ষনিক যৌথ সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
সভা শেষে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ, গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের বাসায় গিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন এবং শান্তনা দিয়ে আসেন।