ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়কে কলেজে উন্নীত করা হবে:: র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি
ডেস্ক ২৪::বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি বলেছেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। শিক্ষার উন্নয়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।
তিনি সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৪ সালের জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে অভিভাবক ও শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডঃ আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এম.পি আরো বলেন, আড়াই হাজার ছাত্রের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবকাঠামো পর্যাপ্ত নয়। তিনি বলেন, অতীতে একটি চক্র বিদ্যালয়কে নিয়ে ব্যবসা করেছে। তারা স্কুলের ও সরকারি টাকা মিলিয়ে স্কুল থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা লুটপাট করেছে। আমি এসব চুরির ঘটনার নিন্দা জানাই। তিনি বলেন, স্কুলে সীমাহীন অনিয়মের জন্য বঞ্চিত হয়েছেন শিক্ষক মন্ডলী। যারা স্কুলের টাকা চুরি করেছে, তাদেরকে অবশ্যই টাকা ফেরত দিতে হবে। অপরাধী যেই হউক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
মোকতাদির চৌধুরী এম.পি বলেন, যতদ্রুত সম্ভব স্কুলে একটি একাডেমীক ভবন নির্মান করা হবে। এই স্কুলকে মডেল স্কুলে পরিণত করা হবে। স্কুলে ভালো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। ছাত্রদেরকে দেশের উপযুক্ত নাগরিক, ছাত্রদের ভেতরে দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে পারে সে ধরনের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। টাকা নিয়ে অদক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়কে স্কুল এন্ড কলেজে পরিণত করা হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে একাদশ শ্রেণীতে ছাত্র ভর্তি করা হবে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সব ধরনের উন্নয়ন করার আশ্বাস দেন। পরে প্রধান অতিথি ২০১৪ সালের জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫প্রাপ্ত ২৯ শিক্ষার্থীর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী সলিম উল্লাহ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল। অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ফয়জুন নাহার ও সৈয়দ মোকাব্বের।
সভাপতির বক্তব্যে ডঃ আশরাফুল আলম বলেন, একটি চক্র এই বিদ্যালয়ে দুর্নীতি করেছে। চুরি করে কেউ কোনদিন রেহাই পায়না। তিনি বলেন, স্কুল থেকে চুরি করে নেওয়া আড়াই কোটি টাকা অবশ্যই ফেরত দিতে হবে। তিনি বলেন, ওই চক্রটি স্কুলের যাবতীয় রেজুলেশন নিয়ে গেছে। এগুলো অবশ্যই ফেরত দিতে হবে। দুর্নীতিবাজদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে। ডঃ আশরাফুল আলম আরো বলেন, আমরা স্কুলের দায়িত্ব নেওয়ার পর স্কুলের শিক্ষকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেছি। স্কুলে শৃংখলা ফিরে এসেছে। শিক্ষকদের নিয়ে আমরা মতবিনিময় করেছি। তিনি বলেন, স্কুলকে একটি মডেল স্কুল হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা কাজ করছি। এজন্য অভিভাবকদের সহযোগীতা প্রয়োজন।