ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ শ্রমিক নেতা নিহতের ঘটনায় এস আইসহ ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ডেস্ক ২৪:: পুলিশের তাড়া খেয়ে ৩ শ্রমিক নেতা নিহতের ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশের এক এসআইসহ ৭ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার অভিযোগ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে জেলার সরাইল থানায় এ অভিযোগটি করা হয়। এতে গত সোমবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার বেড়তলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের কথা উল্লেখ করা হয়। পরিবহন শ্রমিক নেতা জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম তার স্বামীকে হত্যার অভিযোগ আনেন।
সরাইল থানার ওসি জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। হত্যার মামলার অভিযোগ দেয়া হলেও ঘটনটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে ট্রাকের চালককে আসামি করে হত্যা মামলা করেছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে এ অভিযোগটি প্রমাণিত হলে হত্যার মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে। এদিকে পুলিশের তাড়া খেয়ে শ্রমিক নেতা মৃত্যুর ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করেছে। এতে গাজীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনামুল কবিরকে প্রধান করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইওয়ে পুলিশ সিলেট অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা ও শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. জাকির হোসেন। তদন্ত কমিটি আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে তদন্ত টিমটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এর আগে সরাইলে ট্রাকচাপায় জেলা ট্যাংক-লরি শ্রমিক ইউনিয়নের ৩ নেতার মৃত্যুর ঘটনায় খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের এসআই মো. আনিসুজ্জামান ও কনস্টেবল আলী আকবরকে প্রত্যাহার করে গাজীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের একটি দল চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে বেড়তলা এলাকায় একটি ট্রাককে থামার সংকেতে দেয়। ট্রাকটি না থামলে পুলিশের এক সদস্য তার হাতের লাঠি ছুড়ে মারে। লাঠিটি ট্রাকের সামনে থাকা চলন্ত একটি মোটরসাইকেলের চাকায় আটকে যায়। এ সময় মোটরসাইকেলচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে পেছন দিক থেকে ওই ট্রাকটি মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে জেলা ট্যাংক-লরি মালিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), সাধারণ সম্পাদক আলী আজম রাজু (৪০) এবং সদস্য শাহজাহান মিয়া (৫০) মারা যান।