ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাথার খুলি ও মগজ ছাড়া কন্যা শিশু জন্ম



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের এক দম্পতির গর্ভে মাথার খুলি ও মগজ ছাড়া একটি কন্যা শিশু জন্ম নিয়েছে।
সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগের নরমাল ডেলিভারিতে শিশুটির জন্ম হয়।
জন্ম নেওয়া শিশুটি অসুস্থ হলেও তার মা তানজিনা বেগম সুস্থ আছেন।
তানজিনা বেগম নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের ভলাকুট গ্রামের জসিম উদ্দিনের স্ত্রী।
হাসপাতাল ও নবজাতকের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগরের শহীদ মিয়া মেয়ে তানজিনা বেগমের সাথে প্রায় দুই বছর আগে একই উপজেলার ভলাকুটের মৃত সফিল উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিনের বিয়ে হয়। প্রায় এক বছর আগে তানজিনা গর্ভবতী হয়। এরপর থেকে সে বিভিন্ন গাইনী চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তানজিনা যখন ৭মাসের গর্ভবতী তখন গাইনী চিকিৎসক তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে জানান, জন্ম নিতে যাওয়া শিশুটি শারীরিক ভাবে অসুস্থ হবেন এবং তার মাথার খুলি হবে না। কিন্তু চিকিৎসকের সেই কথা তানজিনার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তা কর্ণপাত করেননি।
সোমবার বিকেলে তানজিনার প্রসব বেদনা উঠলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে, গাইনী বিভাগে কোন প্রকার অপারেশন ছাড়া শিশুটি জন্ম নেয়। শিশুটি জন্ম নেওয়ার পর তার মাথা খুলি ও মগজ ছিল না।
এব্যাপারে হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক মাহফিদা আক্তার হ্যাপী জানান, শিশুটি মাথা খুলি ও মগজ ছাড়া জন্ম নিয়েছে। এমন জন্ম নেওয়া শিশুদের এনেনসেফালি (Anencephaly) বলি।
তিনি আরও বলেন, এই শিশু গুলো সচরাচর ২৪ ঘন্টা থেকে ৪৮ ঘন্টা বেঁচে থাকে। শিশুটিকে শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। কন্যা শিশুটিকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে রেফার করেছি।