ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশের ৩ মামলা, আসামী সাড়ে ৬ হাজার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রদের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়। এর মধ্যে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও সদর মডেল থানার ২নং ফাঁড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান দুটি এবং জেলা সদরের মেড্ডা এলাকায় ভাঙচুরের ঘটনায় এসআই মোসলেহ উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং পুলিশ ফাঁড়ির মামলা দুটিতে অজ্ঞাত পাঁচ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। আর মেড্ডার মামলায় আসামি দেড় হাজার। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে আটকদের মধ্যে কোনো মাদরাসাছাত্র আছে কিনা সেটি জানায়নি পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিকেল ৩টার দিকে মামলাগুলো নথিভুক্ত করা হয়েছে। অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষও মামলা করবে।
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ মাদরাসাছাত্ররা। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এরপর শহরের কাউতলি এলাকায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়েও হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা।
এ সময় পুলিশ শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় আশিক (২০) নামে এক যুবক আহত হন। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আশিক জেলা সদরের দাতিয়ারা এলাকার সাগর মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ২নং ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) নূরে আলমসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে নূরে আলমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।