ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতিসহ হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতিসহ হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। বুধবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার কসবা উপজেলার জগন্নাথপুর পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে আল আমিন, নুনু মিয়ার ছেলে জান্নাত, হোসেন পাঠানের ছেলে সোহেল পাঠান ও কসবার ব্রাহ্মণমোড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মো. ইব্রাহীম। তাদের মধ্যে জান্নাত ও সোহেল পলাতক রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত তিনটার দিকে কসবা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের শাহ আলমের ঘরের সিদ কেটে আল আমিন, জান্নাত, সোহেল ও ইব্রাহীমসহ অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চারজন ভেতরে প্রবেশ করে। সেসময় তারা হাত-পা বেধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে রেজিয়াকে হত্যা করে। ঘটনা দেখে চিৎকার শুরু করলে তারা রেজিয়ার ছেলে মাসুক মিয়াকে মারধর করে। ২০১৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই আবুল খায়ের বাদী হয়ে কসবা থানায় মামলা দায়ের করনে। মামলার পরপরই পুলিশ আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আল আমিন দোষ স্বীকার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি বাকী তিনজন আসামীর নাম জানান। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ চারজনকে আসামী করে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম এ রায় প্রদান করেন।