ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জলাতঙ্ক ও ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধ বিষয়ে এ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত
ডেস্ক ২৪:: জলাতঙ্ক ও ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধ বিষয়ে এ্যাডভোকেসী এক সভা গতকাল ২৭ এপ্রিল বুধবার বিকাল ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সিভিল সার্জন ডাঃ হাসিনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারী সংস্থা ইক্রেডিবেল এর সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সভায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সভাপতির ভাষণে সিভিল সার্জন ডাঃ হাসিনা আক্তার বলেন, জলাতঙ্ক একটি মারাত্মক রোগ, যে রোগের মৃত্যু নিশ্চিত যদি সময়তমত ঠিকা না দেয়া। পাগলা কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক হয়ে থাকে।
তাছাড়া বিড়াল, বেজী, চিকা, ইদুরের কামড়ে জলাতঙ্ক হতে পারে। ইহা একটি ভাইরাস গঠিত প্রাণঘাতি রোগ যা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে সংক্রমন করে ফেলে এবং পক্ষঘাতগ্রস্থ হয়ে মানুষ বা প্রাণী মারা যায়। এ রোগের মৃত্যুর হার শতকরা ১০০ ভাগ।
তিনি আরো বলেন, কুকুর বা বিড়ালের কামড়ে মানুষের পেটে বাচ্চা হয় এটা একটি কুসংস্কার। জলাতঙ্ক রোগগ্রস্থ প্রাণীর লালায় এ রোগের জীবাণু (রেবিস ভাইরাস) থাকে। কুকুর বা অন্যান্য প্রাণীর কামড়ে করণীয় হলো: প্রচুর পরিমাণে সাবান পানি ক্ষতস্থান ধৌত করা এবং হাসপাতালে চিকিৎসকের অনতিবিলম্বে পরামর্শ নেওয়া। যার ফোক পানি পড়া বা কবিরাজে মতে এ রোগের কোন চিকিৎসা নেই। এ ব্যাপারে মানুষ আরো সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। ডেঙ্গু বিষয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু কীটপতঙ্গ বাহিত একটি সংক্রামক রোগ। এডিস জাতীয় মশার কামড়েই ডেঙ্গু জ্বর হয়।
প্রাথমিকভাবে সনাক্ত হলে এ রোগ সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং চিকিৎসায় সেরে যায়। কিন্তু মারাত্মক হেমোরেজিক হলে এবং যথাযথ চিকিৎসা না হলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। ডেঙ্গু হলে হঠাৎ শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ থেকে ১০৫ ডিগ্রি বৃদ্ধি পায়। মাথা ব্যাথা, মাংস পেশী, চোখের পেছনে, পেটে ব্যাথা এবং হাড়ে বিশেষ করে মেরুদন্ডে ব্যাথা, অরুচি, বমি বমি ভাব বা বমি হয়। চামড়ার নিচে রক্তক্ষরণ, চোখে রক্তক্ষরণ, চোখে রক্ত জমাট বাধে, শরীরে হামের মত দানা দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, ডেঙ্গু হলে দেরি না করে নিকস্থ স্বাস্থ্য ক্লিনিকে খবর দিবেন বা ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।