Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কেন বারবার টর্নেডো হচ্ছে?

+100%-

মনিরুজ্জামান পলাশ : দুই সাপ্তাহের ব্যবধানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুইবারে আঘাত হেনেছে টর্নেডো। গত ৬ জুন আঘাত হানে সরাইল ও নাসিরনগর উপজেলায়। এতে ১ জনের প্রাণহানিসহ আহত হয় ১০জন। ঘরবাড়ি ও কৃষি জমির ‌ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এর রেশ কাটতে না কাটতেই আজ ১৮ জুন বৃহস্পতিবার ফের সদর উপজেলায় আঘাত হেনেছে টর্নেডো। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী অপেক্ষাকৃত দুর্বল এ ঝড়ে হতাহত না হলেও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আর এর আগে ২০১৩ সালের ২২ মার্চ শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার উড়শিউড়া-চিনাইর এলাকায় আঘাত হানে বিধ্বংসী এক টর্নেডো।যাতে বহু হতাহতের পাশাপাশি নিভে যায় অর্ধশত প্রাণ প্রদ্বীপ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া টোয়েন্টিফোরডটকমে টর্নেডোর ভিডিও প্রকাশ করা হলে অনেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘনঘন টর্নেডো হওয়ার কারন জানতে চান। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া টোয়েন্টিফোরডটকম এর হয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাথে কথা বলেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন জানান, টর্নেডোর প্রধান কারন হচ্ছে বাতাসের আদ্রতার তারতম্য। ভৌগলিক কারনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপর দিয়ে দুই ধরনের বায়ু প্রবাহ বয়ে যায়। বর্তমান সময়ে মৌসুমী বায়ু চলমান। ফলে দক্ষিণ দিকে থেকে বঙ্গোপসার হতে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বাসাতের প্রবাহ রয়েছে। অন্যদিকে উত্তর/উত্তর পশ্চিম দিক থেকে অপেক্ষাকৃত গরম পশ্চিমা বায়ু প্রবাহও চলমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পার্শ্ববর্তী ভারতের ত্রিপুরা এলাকার পাহাড়ে সে পশ্চিমা বাতাস বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরে এসে চাপের সৃষ্টি হয়। সে চাপ ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়ে টর্নেডোতে রুপান্তরিত হয়। বাতাসের চাপ কমে গেলে সেটি মিলিয়ে যায়। এসব কারনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও পাশ্ববর্তী এলাকাগুলোতে টর্নেডো ও ঝড়বৃষ্টি বেশি হয়।

আগামী ২০ জুনের পর ব্র্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে টর্নেডো ও ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরপর এ অঞ্চলে সাধারন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ।






Shares