ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছয় দিনব্যাপী প্রথম আলোর বইমেলা
২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম প্রকাশনের উদ্যোগে ছয় দিনব্যাপী বইমেলার উদ্ধোধন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে মেলার উদ্ধোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিকিৎসক আবু সাঈদ।
মেলার উদ্ধোধন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চের মাঠে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করে প্রথম আলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভা। এসময় আলোচনাসভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরাইল সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মানবর্ধন পাল। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শিক্ষক কমিটির সম্পাদক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক তারেকুল ইসলাম, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যাপক সোপানুল ইসলাম, সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুণ অর রশিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের উদ্যোক্ত পরিচালক ও পরিচালক প্রশাসন হারন অর রশিদ, পিপলস স্ট্যান্ডার্ড স্কুলের অধ্যক্ষ ইয়াসিন আরাফাত, প্রথম আলোর উপ-ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন, প্রেসক্লাবের কোষাধক্ষ নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক ও প্রভাষক মনির হোসেন, সাংবাদিক মনিরুজ্জামান পালাশ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বন্ধুসভার সহসভাপতি ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি শাহাদৎ হোসেন। আলোচনাসভায় প্রথম আলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ বন্ধুসভা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ বন্ধুসভার সদস্যরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বইমেলা উদ্ধোধনের সময় প্রধান অতিথি চিকিৎসক আবু সাঈদ বলেন, এক সময় ফেসবুক ও ইন্টারনেট ছিল না।এখন আছে। কিন্তু বই সর্বজনীন। আরো ১০০বছর পরও বইয়ের আবেদন থাকবে। বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞানের প্রকৃত চর্চা হয়। যারা বই পড়ে তাঁরা কখনও নেশায় আসক্ত হয় না। সুন্দর সমাজ ও দেশ গড়তে বই পড়তে হবে।
বইমেলা উদ্ধোধনের সময় প্রধান অতিথি চিকিৎসক আবু সাঈদ বলেন, এক সময় ফেসবুক ও ইন্টারনেট ছিল না।এখন আছে। কিন্তু বই সর্বজনীন। আরো ১০০বছর পরও বইয়ের আবেদন থাকবে। বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞানের প্রকৃত চর্চা হয়। যারা বই পড়ে তাঁরা কখনও নেশায় আসক্ত হয় না। সুন্দর সমাজ ও দেশ গড়তে বই পড়তে হবে।
প্রধান আলোচক মানবর্ধন পাল বলেন, বই ভালোবাসে না, এমন লোক বাংলাদেশে নেই। সবাই বই ভালোবাসে। ভেতরের সত্বাকে জাগ্রত করতে হলে বই পড়তে হবে। নিজেকে জানতে হলে বই পড়তে হবে। তিনি প্রথম আলো ও বেঙ্গল পাবলিকেশনসকে লেখকের মান যাচাই করে বই প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ জানান।
ফরিদা নাজমীন বলেন, খোলা জায়গায় বইমেলা ও আলোচনাসভার অনুভূতি দিয়েছে প্রথম আলো। উন্মুক্ত জায়গায় বই মেলার উদ্যোগ সত্যিতই প্রশংসনীয়। আয়োজক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। বই মেলায় শিক্ষার্থীরা আসবে, বই দেখবে এটা আমাদের অভিভাবকদের প্রাপ্তি। তিনি বলেন, বই পড়ার বিকল্প কিছুই নেই।
যত বই পড়বে ততো সৃজনশীল হবে। যত বেশি সাহিত্য, গবেষণা ও প্রবন্ধ পড়বে, ভেতরের সৃজনশীলতা, মেধা ও মননশীলতা বাড়বে। বই পড়লে মূল্যবোধ তৈরি হবে। সাহিত্য পড়লে সম্পূর্ণ মানুষ হওয়া যায়। বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করতে হলে বই পড়তে হবে। তিনি সবাইকে সাহিত্য পড়তে অনুপ্রাণিত করেন।
অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম বলেন, এখন ছেলে-মেয়েদের হাতে মুঠোফোন ও ফেসবুকসহ অনেক কিছু থাকে। তারা এখন এসবে আসক্ত হয়ে পড়ছে। কিন্তু ছেলে-মেয়েরা বই পড়লে, বই হাতে ঘুমালে বাবা-মায়েরা খুশি হয়। বই পড়লে অন্তর আত্মা জাগ্রহ হয়। সবাই বই পড়বেন এবং যা মনে আসে লিখবেন। প্রতিভা বিকশিত হবে। এভাবেই বাংলাদেশ উন্নত হবে।দেশের মানুষ এগিয়ে যাবে।
বক্তরা বিশ্ব বই দিবসে বই মেলা উদ্ধোধনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রথম আলো কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১১টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত মেলায় বইমেলা চলবে। মেলায় প্রথমা প্রকাশন ও বেঙ্গল পাবলিকেশনসেরসহ ভারতীয় বই পাওয়া যাবে। প্রথম প্রকাশের বিভিন্ন বইয়ে ৩০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৬০শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। পাশাপাশি বেঙ্গল পাবলিকেশনসের বইয়ে ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে। আর ভারতীয় বইয়ে মূল্যের প্রতি এক রুপি জন্য বাংলাদেশী টাকায় এক টাকা পঞ্চাশ পয়সা থেকে এক টাকা ৮০ পয়সা করে নেওয়া হবে।
এছাড়া একুশে বইমেলার সকল নতুন বইও মেলায় পাওয়া যাবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ বন্ধুসভা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ বন্ধুসভার সদস্যরা সর্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন।
« পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে প্রত্যেকের দেহ পুষ্টির অভাব মুক্ত রাখতে হবে পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে (পূর্বের সংবাদ)