ব্যভিচার মামলায় জেলে গেল আওয়ামী লীগ নেতা এবং আরেক নেতার বৌ!!
ডেস্ক ২৪:: ব্যভিচারের মামলায় জেলে গেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ তৌফিক আহমেদ ও জেলা আওয়ামী লীগের আরেক নেতার স্ত্রী ফারজানা হোসেন সোনিয়া ।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার ২১ নং সিএমএম আদালতের বিচারক সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সিএমএম আদালতের সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মীরাশ উদ্দিন আদালতের এই আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নান রতনের স্ত্রী ফারজানা হোসেন সোনিয়া গত ২৯শে মার্চ সকালে ঢাকার গুলশানের বাসা ছেড়ে যান। এরপরই কথা উঠে জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ তৌফিক আহমেদের হাত ধরে উধাও হয়েছেন সোনিয়া।
এ ব্যাপারে আবদুল হান্নান রতন ৩০শে মার্চ গুলশান থানায় একটি মামলা দেন। এতে তৌফিক ছাড়াও তৌফিকের গাড়ির ড্রাইভার তোতা মিয়া ও সোনিয়াকে আসামি করা হয়। মামলায় চুরি, ব্যভিচারের অভিযোগ আনা হয় তৌফিক ও সোনিয়ার বিরুদ্ধে। এ মামলায় আসামিরা জামিন নেয়। পরবর্তীতে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য আবদুল হান্নান রতনকে মারধর ও হুমকি-ধমকি দেয়া হয়। এ বিষয়ে রতন একটি জিডি করেন। গতকাল আদালতে জিডির অভিযোগের বিষয়ে শুনানি হয়। এরপরই আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সিএমএম আদালতের সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মীরাশ উদ্দিন জানান, আসামিরা মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য বাদীকে হুমকি-ধমকি দেয় এবং মারধর করে। এব্যাপারে তিনি থানায় একটি জিডি করলে পুলিশ তদন্ত করে ঘটনা সত্য বলে আদালতে রিপোর্ট দেয়। বাদী নিরাপত্তাহীনতায় আছেন উল্লেখ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা ন্যায় বিচারের স্বার্থে তাদের জামিন বাতিল করা প্রয়োজন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে আদালত দুই পক্ষের বক্তব্য শুনেন এবং পুলিশ রিপোর্ট দেখে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার স্ত্রী আরেক নেতার সঙ্গে ঘর ছেড়ে যাওয়ার ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ১৯৯৮ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর বিয়ে হয় রতন ও সোনিয়ার। তাদের ৩ সন্তান রয়েছে। ঘটনার পরই রতন তার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেয়ার জন্য তৌফিককে দায়ী করেন।
তিনি বলেন- মার্চের ২০ তারিখ থেকে ২৯ তারিখ ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সোনিয়া ও তৌফিক মোবাইল ফোনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০ ঘণ্টাই কথা বলেছেন। আমার বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরও তার সঙ্গে কথা হয়েছে। ৩১শে মার্চ পর্যন্ত তারা দুজন এক সঙ্গেই ছিলেন। রতনের বাসায় আসা-যাওয়ার সুবাদে সোনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেন তৌফিক। রতনের একাধিক গাড়ি থাকার পরও সোনিয়া তৌফিকের গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন বিভিন্ন সময়।
অবশ্য ঘর ছাড়ার বিষয়ে ফারজানা হোসেন সোনিয়া ইতিপূর্বে বলেন- তিনি কারো হাত ধরে ঘর ছাড়েননি। স্বামীর দীর্ঘ নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ঘর ছেড়েছেন। তৌফিকের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কথা স্বীকার করে বলেন সেটা ছিলো অন্য পারপাসে। সোনিয়া নিজেই গত ২রা এপ্রিল এ প্রতিবেদকের মোবাইলে ফোন করে জানান, ২৯শে মার্চ তিনি রতনকে ডিভোর্স দিয়েছেন। ওই সময় সৈয়দ তৌফিক আহমেদ বলেন- সোনিয়ার সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে শুধু ব্যাংকিং ব্যাপারে। আর একজনের সঙ্গে ফোনে কথা হতেই পারে। কিন্তু যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা কোনোভাবেই ঠিক নয়। আমি সে ধরনের চরিত্রের লোক নই।