বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু হয়েছে আঞ্চলিক ইজতেমা, আসতে শুরু করেছে মুসল্লীরা, নিরাপত্তায় ৫০০ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার শালগাঁও কালিসীমা ঈঁদগাহ ময়দানে তিতাস নদীর তীরে শুরু হয়েছে তিন দিন ব্যাপী জেলা আঞ্চলিক ইজতেমা।
বৃহস্পতিবার সকালে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে আগামী ৬ ডিসেম্বর আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এ ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
ইজতেমা সূত্রে জানা যায়, লক্ষাধিক মুসল্লীর জন্য প্রায় ২০ একর জায়গা জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে বিশালাকার প্যান্ডেল। তৈরী করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ ৭০০ পানির ট্যাব, ৮টি পানির ট্যাংক ও ৮০০ টয়লেট ও ওজুর স্থান। ৩ দিনব্যাপী এ ইজতেমায় দেশী বিদেশী অতিথি সহ প্রায় ১/ ২ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে বলে ধারণা আয়োজকদের।
জেলা ইজতেমা দায়িত্বরত জাহিদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে ইজতেমার কার্যক্রম। ইজতেমাকে সফল করতে আমাদের ৫টি ইউনিটে ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবক রাত দিন কাজ করে যাচ্ছেন।
ইজতেমায় আগত জুরু মিয়া জানান, একদিন আগেই চলে এসেছি। জেলা পর্যায়ে ইজতেমা হওয়াতে এখানকার লোকজনের অনেক সুবিধা হয়েছে। আগে আমাদের টঙ্গী ইজতেমায় যেতে যাতায়াতের কষ্টসহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হত।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন জানান, ইজতেমা আগত মুসল্লীদের জন্য আমরা তিন ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছি। নৌ পুলিশের মাধ্যমে নৌ পথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মুসল্লিদেন আসা যাত্তয়ার জন্য রাস্তায় যাতে কোন ধরনের সমস্যা না হয় সে জন্য বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সাদা পোশাক ও পোশাক পরিহিত ৫৮০ জন ফোর্স নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবে।