বাকপ্রতিবন্ধী যুবককে কুপিয়ে হত্যা



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় শফিকুল ইসলাম (২৬) নামের এক বাকপ্রতিবন্ধী যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ৯ টার দিকে উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বৈষ্ণবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় আবুল খায়ের মিয়া ও জামাল মিয়ার গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। কিছু দিন আগে এই বিরোধ সালিসের মাধ্যমে মীমাংসা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে জামাল মিয়ার গোষ্ঠীর ইমাম হোসেন লুকিয়ে স্থানীয় রুবেল মিয়ার বাড়িতে যায়। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রুবেলের স্ত্রী সুমাইয়াকে (১৮) ইমাম হোসেন ঝাপটে ধরেন। রুবেল বাড়িতে এসে ইমাম হোসেনকে আটক করে এলাকাবাসীকে খবর দেয়। এরই মধ্যে সুযোগে পালিয়ে যায় ইমাম হোসেন। এরপর ইমাম হোসেন পালিয়ে গিয়ে জামাল মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজনকে জানায়, খায়ের মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজন তাকে মারধর করেছে। এরই প্রেক্ষিতে জামাল মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে খায়ের মিয়ার গোষ্ঠীর ওপর হামলা চালিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী শফিকুল ইসলামে কুপিয়ে হত্যা করে। এছাড়াও তাদের হামলায় সিরাজ মিয়া (৫০), আহাম্মদ আলী (৬৫), আশেক (২৪), বাদশা (১৮), আশেক (২৪), ইসমাইল (৩০), রুবেল (২৮), তাজুল ইসলাম (৫৬), আহাদ মিয়া (৩৮), শাবলু (২২) ও মুসা মিয়া (২৮) আহত হন। তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি ও অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহত রুবেল বলেন, আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে হামলাকারীরা। আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই৷
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। নারী সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ জনকে আটক করা হয়েছে।