বঙ্গবন্ধু লিডারশিপ এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হলেন মেধাদীপ্ত রাজনীতিবিদ উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি
১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টায় সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ইউ. এস. এ কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধু লিডারশিপ এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হলেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট লেখক উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
এক অনাড়ম্বর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশ বরেণ্য লেখক, সাংবাদিক, কলামিস্ট ও বুদ্ধিজীবি সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী একজন প্রকৃত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের ভালোবাসার পাত্রও। মানুষের ভালোবাসা না থাকলে প্রকৃত নেতা হওয়া যায় না উল্লেখ করে বলেন, তিনি প্রকৃতপক্ষেই জনগণের নেতা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতির রাজধানী হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। আমি প্রায়ই চেষ্টা করি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসতে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসলেই মনে হয় আমি শেখরে ফিরে এসেছি। তিনি বলেন, পৃথিবীতে কত রকমের বিশ্বাসঘাতক বেঈমান মানুষ হতে পারে তা ১৫ আগস্টেই প্রমাণ হয়েছে। যারা বঙ্গবন্ধু’র কাছ থেকে সুবিধা নিত তারাই বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সাথে বেঈমানি করেছে। তখনকার সময়ের ছাত্র নেতা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা না করে বরং আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে কারা বরণ করেছিল। মোকতাদির কখনোই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুৎ হয় নি বরং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুব কাছ থেকে দেখা ও কাজ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশাল মনের অধিকারী, জনগণের প্রকৃত নেতা। মানুষের কষ্টে তিনি কষ্ট পেয়েছেন। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার আদর্শকে হত্যা করতে পারি নি। যা যুগ যুগান্তরে অমর হয়ে থাকবে।
সংবর্ধনার জবাবে সংবর্ধিত অতিথি র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আমি ক্ষুদ্র মানুষ, চেষ্টা করি মানুষের সেবা করতে। কতটুকু পেরেছি তা জনগণেই বিচার করবে। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুস্মরণ করি আর বঙ্গবন্ধুর ৪টি স্তম্ভ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করি। এই বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ইউ. এস. এ কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধু লিডারশিপ এ্যাওয়ার্ড আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ইউ.এস.এ এর সভাপতি পীরজাদা নুরুল আবেদীন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নায়ার কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ হানিফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ এস এম শফিকুল্লাহ্, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর অমৃত লাল সাহা, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. বিশ্বজিৎ ভাদুড়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, বিশিষ্ট নাট্যজন ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক মনজুরুল আলম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ইউ.এস.এ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমন্বয়ক আলহাজ্ব অ্যাড. লোকমান হোসেন।
পরে মেধাদীপ্ত রাজনীতিবীদ র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে অতিথিবৃন্দ অভিনন্দন অঞ্জলি, উত্তরীয়, সম্মাননা স্মারক, ফুলেল তোড়া ও এইম’স স্কুলের শিশুদের আঁকা ছবি দেওয়া হয়।
বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।