Main Menu

প্রবীণদের জন্য বাউনবাইরার কতা”র ঈদি

+100%-

রিয়াসাদ আজিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফেইসবুকভিত্তিক সমাজসেবামূলক গ্রুপ “বাউনবাইরার কতা” প্রতিবারের ন্যায় এবারও আসন্ন রোজার ঈদকে সামনে রেখে গ্রুপের উদ্যোগে ‘প্রবীণদের জন্য ঈদি-২ এবং প্রজেক্ট স্বাবলম্বী ২০১৭ এর কার্যক্রম শুরু করেছে।
চলুক প্রাণের ভাষায় নতুন আশায়, বাউনবাইরার কতা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৩ সালে বাউনবাইরার কতা গ্রুপের পথচলা শুরু হয়।
এই গ্রুপের উদ্দেশ্যে হল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আঞ্চলিক ভাষা সংরক্ষন করা এবং নতুন প্রজন্মকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হারিয়ে যাওয়া নাজিরা, প্রবাদ বাক্য, লোকগীতি সহ হারিয়ে যাওয়া ভাষা সংরক্ষণ করা ও তার পরিচর্চা করা। সময়ের পরিক্রমায় এই গ্রুপ এখন প্রায় ২৪ হাজার সদস্যের পরিবার।
বাউনবাইরার কতা তার সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ২০১৪ সাল থেকে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের কে নিয়ে কাজ শুরু করে। ২০১৪ সালে প্রায় ২৫০জন পথশিশু কে নতুন কাপড় দিয়ে যাত্রা শুরু তারপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি।
২০১৫ সালে থেকে শুরু হয় প্রভীণদের ঈদি, ২০১৬ সালে পথকলিদের ঈদ উৎসব ২০১৬, এছাড়া দুইটি মেডিক্যাল ক্যাম্প, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্মৃতিসৌধের সামনে স্মৃতিফলক স্থাপন। প্রায় ১০০ টি রিক্সার পিছনে জনসচেতনতা মূলক স্লোগান লেখা হয়। শীতবস্ত্র বিতরন, সেচ্ছায় রক্তদান করার মত কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজের মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন।
তারই ধারবাহিকতায় সংগঠনটি এবার আবারো সমাজের হত দরিদ্র প্রবীনদের নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছে। প্রবীনদের ঈদি, প্রজেক্ট স্বাবলম্বী এই দুটি প্রজেক্টকে সামনে নিয়ে ইতি মধ্যে সংগঠনটি কাজ শুরু করেছেন। প্রবীনদের ঈদের নতুন কাপড়ের পাশাপাশি অনন্ত ৫ টি পরিবারকে স্বাবলম্বী করা সংগঠনটির প্রধান লক্ষ্য।
ইতি মধ্যে সংগঠনটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
গ্রুপের এডমিন ডাঃ মাহবুবুর রহমান জানান, বাউনবাইরার কতা প্রথম থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক ভাষায় একটা অভিধান করার চেষ্টা করছে। কিছুদিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাষা, নজিরা, প্রবাদ বাক্য সহ যে সকল বাক্য হারিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে বাউনবাইরার কতার নিজস্ব ওয়েবসাইট। যার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আর আসন্ন ঈদুল ফিতরে অন্তত কয়েকটা পরিবারের পাশে দাঁড়াবার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি জানান আরমা চাই অন্তত কয়েকটা অসহায় পরিবার যেন আমাদের সহযোগিতার মাধ্যমে তারা নিজেরা যাতে স্বাবলম্বী হতে পারে সেই চেষ্টাই করছি।
গ্রুপের সদস্য মোশারফ হোসেন ভূইয়া বলেন, আমরা চাই সকলের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে। আমাদের উদ্যোগেকে স্বাগত জানিয়ে সমাজের অনেক হৃদয়বান মানুষ এগিয়ে এসেছে। তারা আর্থীক সহযোগিতা করছে। সমাজের প্রতিটি মানুষের প্রতি আহবান জানায় এবার ঈদে সুবিধা বঞ্চিত দুস্থ গরীব প্রবীণদের পাশে দাঁড়াই।
আতিক রহমান বলেন, আমরা সম্মিলিত ভাবে যদি অর্থের যোগানে অংশগ্রহন করি। তাঁদের একটা করে নতুন জামার ব্যবস্থা করি। তাহলে অনেকের ঈদের খুশির কারণ আমরা হবো।
আসুন আমরা সম্মিলিত ভাবে অর্থের যোগানে অংশগ্রহন করি।
সেচ্ছায় অর্থদিয়ে সহযোগিতা করতে চাইলে যোগাযোগ করুন। এডঃ সাদ্দাম হোসেন খান ০১৭৪০৫০৬৭২৬ (বিকাশ পার্সোনাল) অতবা ডাঃ মাহবুবুর রহমান এমিল ০১৬৭৮১৩৮৩৩৮(বিকাশ পার্সোনাল) এই নাম্বারে।






Shares