Main Menu

প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর মিছিলে যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনাসভায় যোগ দিতে যাওয়া মিছিলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় এঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে আলোচনাসভার আয়োজন করেন। শুক্রবার বিকেলে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় যোগদিতে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রাম থেকে সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজমের চাচাতো ভাই সদর যুবলীগের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মনির হোসেন নেতৃত্বে একটি মিছিল রওয়ানা হয়।

মিছিলটি জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় পৌঁছলে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের অনুসারী নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রুস্তম ইউনুছ, শরীফ উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য শাহ আলমসহ তাদের অনুসারীরা মনিরসহ বাকিদের উপর হামলা চালায়। এসময় ইউনিয়ন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১০ জন নেতাকর্মীরা আহত হয়। পরে স্থানীয় নেতাকর্মীরা দুই পক্ষকে ফিরিয়ে দেন। সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজমের সমর্থকরা আহত নেতাকর্মীদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান। সন্ধ্যা ছয়টায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য মনিরকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা।

আহতরা হলেন, সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মনির হোসেন, নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক খালেদ মিজান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম, নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী আলম। তাঁরা সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম ভূইয়ার কর্মী সমর্থক। তাদের মধ্যে আহত মনির আলী আজমের চাচাতো ভাই।

সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের দিকে অভিযোগ তুলে বলেন, সাধারন সম্পাদকের ইন্ধনেই তার অনুসারী রুস্তম ইউনুছ, শরীফ উদ্দিন, মনির হোসেন ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য শাহ আলম মিছিলে হামলা চালিয়েছে। এর আগে জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভায় আমার ছবিকে ব্যঙ্গ করে ফেসবুকে দিয়েছিল রুস্তম। তখন জেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস আমাকে বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। তবে আমি এখনও বিচার পা্ইনি। এর মাঝেই আমার ভাইয়ের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে।

সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, মিছিলে ছবি তোলা নিয়ে একই গ্রামের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এসবের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আর জেলা যুবলীগ ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

তবে, আসন্ন সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম ও সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের মধ্যে মৌন বিরোধ চলছে বলে জানা গেছে। তাদের সমর্থকরাও দুভাগে ভাগ হয়ে আছেন।






Shares