পৃথিবীর ইতিহাসের কিংবদন্তী মহানায়ক বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন নেতা আর কখনও জন্ম হবে না ——-উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা যুবলীগের আলোচনা সভা
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীনতার মহানায়ক, বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলী যুবলীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা গতকাল বিকালে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্তরে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যর্নিবাহী কমিটির অন্যতম নেতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড.শাহনূর ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌসের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভপতি, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এড. মাহবুবুল আলম খোকন। সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, এহসান উল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সালাউদ্দিন সরকার, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ আলি আজম, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন রানা, শহর যুবলীগের আহবায়ক আমজাদ হোসেন রনি, যুগ্ম আহবায়ক ইমরান আলী মামুন, আকবর হোসেন লিটন, আল আমিন সওদাগর প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তিতায় বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাঙ্গালী জাতির জনক। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশকে শুধু স্বাধীন ই করেননি। তিনি যুদ্ধ বিদ্ধস্থ বাংলাদেশ কে অল্প সময়ে পূনর্গঠন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। যা তার দেশ প্রেম ও যোগ্য নেতৃত্বের ফলে সম্ভব হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসের কিংবদন্তী মহানায়ক তিনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন নেতা আর কখনও জন্ম হবে না। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্য করা বাঙ্গালী জাতির ইাতিহাসে এক কলঙ্ক জনক অধ্যায়। যারা এই কলঙ্ক জনক অধ্যায়ের রচয়িতা এবং যারা এই বর্বরচিত হত্যা কে সমর্থন করে তারা চিরদিনই পৃথিবীর ইতিহাসে ঘৃনীত। বক্তারা বলেন এই দেশকে, এই জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করতে হবে। এই আদর্শ দেশের ১৬ কোটি মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের আত্মত্যাগ সফল হবে। তিনি আরো বলেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের পর দীর্ঘ ২১ বছর পর্যন্ত দেশে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে পারতো না। কিন্তু তাঁর নাম আজ সারাদেশে সর্ব ক্ষেত্রে শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারিত হচ্ছে। কারণ তিনি আর্দশের রাজনীতি করতেন, মানুষের রাজনীতি করতেন। আর আর কোন আর্দশ কে জোর করে বেশী দিন দাবিয়ে রাখার যায় না। প্রিধান অতিথি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বলিয়ান হয়ে তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গণত্রন্ত্র রক্ষা ও দেশের সার্বিক উন্নয়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে যে বলিষ্ট ভুমিকা রাখছেন সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সকলকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান জানান। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেত্রিত্বে বিগত কয়েক বছরে দেশের অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। তাই দেশের উন্নয়ন বাধা গ্রস্থ করতে ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বিএনপি-জামাত দেশে পরিকল্পিত এসব জঙ্গি হামলার মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। তিনি এ সমস্ত জঙ্গি হামলা প্রতিরোধে প্রত্যেক ঘরে ঘরে সচেতনতা তৈরী ও প্রতিরোধ দূর্গ গড়ে তুলতে যুবলীগের সর্বস্তরের নেতা কর্মীর প্রতি আহবান জানান।
সভায় জেলা যুবলীগসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মীগণ অংশ গ্রহন করেন।