পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন(ভিডিও)



বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কার্যনির্বাহী পরিষদ বিলুপ্ত করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা কমিটির মেয়াদ ১ মার্চ ২০১৬ শেষ হওয়ায় গঠনতন্ত্রের ১০ (ক) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে আগামী ৩ মাসের জন্য আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেছেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র পাল সোমবার আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।
আহবায়ক কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন আহবায়ক সুভাষ চন্দ্র পাল, সদস্য সচিব প্রবীর কুমার দেব, সদস্যরা হচ্ছেন সুনীল কুমার দেব, সুদর্শণ সাহা, পংকজ কুমার রায়, নারায়ন সাহা, সব্যশাচী পাল, অদিত পাল, প্রদ্যোৎ নাগ, পরিতোষ রায়, এডঃ যতন শর্মা, খোকন আচার্য্য, সুভাষ দাস, এডঃ আদেশ দেব, প্রানতোষ পাল, বাপ্পী সাহা, এডঃ রিপন সূত্রধর, সুবিমল সূত্রধর, দিলীপ কুমার রায়, নারায়ন বণিক, অশোক রায় চৌধুরী।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রাণতোষ কুমার পাল, চন্দন বণিক, সুনীল দেব, সব্যসাচী পাল, অশোক রায় চৌধুরী, সুনীল কুমার দেব প্রমুখ।
সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পূজা উদযাপন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সভাপতি সুভাষ চন্দ্র পাল জানান, তিনি দীর্ঘ ২২ বৎসর যাবৎ এ পরিষদের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং ২ মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জানান, বর্তমান কার্যকরি পরিষদের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডঃ প্রণব দাস উত্তমসহ কতক সম্পাদক সংগঠনের কাজে অসহযোগিতা শুরু করেন। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে অসহযোগিতা গঠনতন্ত্র অমান্য, আয় ব্যয়ের হিসাব না দেয়া, সম্পাদক মন্ডলীকে সাংগঠনিক দায়িত্ব প্রদান না করা, দপ্তর সম্পাদককে অফিসিয়াল খাতাপত্র, রেকর্ডপত্র বুঝাইয়া না দেয়ার অভিযোগ করা হয় সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয় ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় ৩০ নভেম্বর ২০১৬ এর মধ্যে সকল উপজেলা কমিটির সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হলেও এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়া থেকে বিরত থাকেন সাধারণ সম্পাদক। ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর জেলা কমিটির বিগত সময়ের আয়- ব্যয়ের হিসাব লিখিতভাবে উপস্থাপনের কথা বললেও সাধারণ সম্পাদক তা করেননি। এছাড়া জেলা কমিটির অধীন সনাতন ধর্মের বহু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, দেবোত্তর সম্পত্তি, আখড়া সম্পত্তি তালিকা প্রস্তুত করে ধর্ম বিষয়ক সম্পাদককে নিয়ে তা সংরক্ষণের উদ্যোগের জন্য বলা হলেও তিনি তা করেন নি।
এদিকে দ্বি-বার্ষিক জেলা কমিটির মেয়াদ ১/৩/২০১৬ তারিখ শেষ হবে। গঠনতন্ত্রের ১১ (খ) অনুচ্ছেদের বিধানমতে জেলা কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের পূর্বে দ্বি- বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি গ্রহণপূর্বক সকল উজেলার সম্মেলন সম্পন্ন করার কথা থাকলেও ৮টি উপজেলার মধ্যে সাধারণ সম্পাদক কসবা উপজেলার সম্মেলনের ব্যবস্থা করেছেন বাকী উপজেলায় সম্মেলন হয়নি। এছাড়া কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন পূর্বে প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পন্ন করার জন্য মৌখিকভাবে পরে ২৭/১১/২০১৫ তারিখে সভাপতি লিখিতভাবে সাধারণ সম্পাদকে অনুরোধে করেন। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক তা অমান্য করেছেন।
শুধু তাই নয় গ্রুপিং করে কতক দলভুক্ত সম্পাদককে দিয়ে অগঠনতান্ত্রিক কার্যকলাপ করছে এতে পরিষদের কার্যক্রমে স্থবিরতা এবং মেয়াদ শেষান্তে সাংবিধানিক জটিলতা পতিত হওয়া থেকে উত্তোরণের লক্ষ্যে কমিটির কার্যক্রমের গতিশীলতার জন্য সভাপতি কমিটি বিলুপ্ত করে আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেছেন।