Main Menu

পরিচ্ছন্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়তে নব উদ্যোগ

+100%-

kalerkontoগোলাপ মিয়া এখন থেকে আর যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলবেন না। পৌর এলাকার মঠের গোড়ার চায়ের দোকানি গোলাপ মিয়ার হাতে ডাস্টবিন (ঝুড়ি) তুলে দেওয়া হয়েছে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ‘ঈদি’ হিসেবে এ ঝুড়ি তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। আরো অনেকের হাতেই এদিন তুলে দেওয়া হয়েছে ময়লার ঝুড়ি। এ ছাড়া জেলা সদর হাসপাতাল, পৌর আধুনিক সুপার মার্কেট, সুপার মার্কেটের সামনেও বসানো হয় কিছু ডাস্টবিন। জায়গাভেদে ‘ঈদি’-এর আকার ছোট-বড়। তবে লাল আর হলুদে রাঙানো এ ‘ঈদি’ সবার চোখে পড়ার মতো। ‘এবারের ঈদুল ফিতর বদলে যাবে আমার শহর’—এ স্লোগান সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিতরণ ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে বসানো হয় বেশ কিছু ডাস্টবিন। ‘আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ নামে ফেসবুকভিত্তিক একটি সংগঠন একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৪৫টি ডাস্টবিন বিতরণ ও বসানোর কাজের উদ্বোধন করে। তাদের আহ্বান ছিল—‘আসুন, এবারের ঈদি দিই প্রিয় শহরকে একটি ডাস্টবিন’।

ডাস্টবিন বিতরণ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল কম্পাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদস্য বিবর্ধন রায় ইমনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, পৌর মেয়র নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট মো. শওকত হোসেন। অতিথিবৃন্দ এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা বলেন, ‘আমরা দেশের বাইরে গেলে ঠিকই ডাস্টবিন খুঁজে ময়লা ফেলি। অথচ দেশে যেখানে-সেখানে ফেলি। প্রকৃতপক্ষে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার।’ মানুষের মানসিকতার পরিবর্তনের জন্য আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদস্যদের কাজ করার আহ্বান জানান অতিথিরা। পৌর মেয়র জানান, এসব ডাস্টবিনে প্রতিদিন যে ময়লা জমা হবে তা তুলে নেবেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদস্য জেবিন ইসলাম জানান, পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছোট-বড় মিলিয়ে ৩৫টি ডাস্টবিন বসানো হয়েছে। এ ছাড়া ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের ১০টি ঝুড়ি দেওয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজের সামনে ঈদের পর পাঁচটি ডাস্টবিন বসানো হবে বলে জানান তিনি। –






Shares