পদত্যাগ করেও হলনা রক্ষা, আব্দুর রহিম কাসেমী গ্রেফতার



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তাণ্ডবের প্রতিবাদ এবং জড়িতদের বিচার চেয়ে পদত্যাগ করা সংগঠনটির জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ মে) বিকেল ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের ভাদুঘর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তাণ্ডবের ঘটনা তদন্ত করে আব্দুর রহিম কাসেমীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এছাড়া ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালানো তাণ্ডবেও তার সংশ্লিষ্টতা ছিল।
এর আগে হোফাজতে ইসলামের চালানো তাণ্ডবের ঘটনার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের বিচার চেয়ে গত ২৩ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেন কাসেমী।
ওই দিন সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রহিম কাসেমী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের ডাকে যে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তা নজিরবিহীন ও অমানবিক। দেশ ও জনগণের জানমালের ক্ষতি কোনোভাবেই ইসলামসম্মত হতে পারে না।
যাদের প্ররোচনায় দেশ ও জনগণের জানমালের এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান কাসেমী।