দিনভর নাশকতায় হরতাল শেষ, নিহত বেড়ে ১০, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অগ্নিসংযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া। রবিবার সকাল থেকেই হরতাল সমর্থকরা বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা বিভিন্ন সরকারি দপ্তরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করে অগ্নি সংযোগ করে। এ সময় শহরের পৈরতলা, পুলিশ লাইন্স এলাকা, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়েক বিশ্বরোড এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে নতুন করে ২ জন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলো সরাইলের আলামিন ও কালন মিয়া (২৩) । এনিয়ে এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত হয়েছে। তবে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়।
এছাড়াও বিক্ষুদ্ধরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, শিল্পকলা একাডেমী, জেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, ভূমি অফিস, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, জেলা আওয়ামীলীগের অফিস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, আনন্দময়ী কালিবাড়ি মন্দির, আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি, শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বর, উন্নয়ন মেলাসহ বিভিন্ন সরকারি ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি হামলাকারীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়।
এছাড়াও আইনশৃক্সখলা বাহিনীর সাথে বিক্ষুব্ধদের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত হয়েছে এবং পুলিশসহ আহত হয়েছে দেড়শতাধিক। হরতালকে কেন্দ্র করে বন্ধ রয়েছে দোকান পাটসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
তবে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান এবং পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমানকে সাংবাদিকরা একাধিকবার ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।