মওলানা ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় জ্বালানী বিশেষজ্ঞ বিডি রহমতুল্লাহ
তিনি একজন অসম সাহসী, আপোষহীন, সংগ্রামী মজলুম জননেতা
মওলানা ভাসানী চিরদিনই স্পষ্টবাদী ছিলেন। জীবনে কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতে শিখেন নি। তিনি শুধু একজন রাজনীতিবিদই ছিলেন না, তিনি একজন আধ্যাত্মিক পীরও ছিলেন। গতকাল শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মওলানা ভাসানী মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের আয়োজনে আফ্রো-এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী অবিসংবাদিত নেতা, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভার মুখ্য আলোচক জ্বালানী বিশেষজ্ঞ বিডি রহমতুল্লাহ এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আজকে দেশের যে সঙ্কট, তা সমাধানে অগ্নিপুরুষ ছিলেন মওলানা ভাসানী। মওলানা ভাসানীর দৃষ্টিতে এদেশের জনগণের প্রধান সমস্যা ছিল সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ, সামন্তবাদ, লুটেরা পুঁজির নিষ্ঠুর শোষন। মওলানা ভাসানী তাঁর জীবদ্দশায় এসবের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। তাঁর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের নিজেদের বাঁচার স্বার্থেই কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে ভাসানীর নির্দেশিত এসব শত্রুর বিরুদ্ধে এক উজ্জ্বীবিত লড়াই শুরু করতে হবে। জ্বালানী বিশেষজ্ঞ বিডি রহমতুল্লাহ বলেন, ভারতের ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ১৯৭৬ সালের ১৬ মে ৯৫ বছর বয়সে ১৯ মাইল দীর্ঘ লংমার্চের নেতৃত্ব দেন। সত্যিই তিনি একজন অসম সাহসী, আপোষহীন, সংগ্রামী মজলুম জননেতা।
মওলানা ভাসানী মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক আবদুন নুরের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. মোঃ নাসির মিয়ার পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন ৭২’র সংবিধান বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক এড. সৈয়দ মোঃ জামাল, ভাসানী অনুসারী প্রদ্যোৎ নাগ, উদীচি শিল্পী গোষ্ঠীর নেতা ঈসা খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা ঐক্য ন্যাপ নেত্রী সাদেকা সুলতানা প্রমুখ। আলোচনা সভায় রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।প্রেস রিলিজ