Main Menu

তিতাস নদী খননে প্রকল্প অনুমোদন

+100%-

অবশেtitasষে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পরিপ্রেক্ষিতে তিতাস নদী খনন হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় তিতাস নদী খননের প্রকল্প অনুমোদন হয়। ৯০ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার নদী খননে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৬ কোটি টাকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার বড় বাজার থেকে সরাইলের আজবপুর তিতাসের উৎপত্তিস্থল নাসিরনগরের কুন্ডা পর্যন্ত নদীটি খনন করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আগামী ৫ বছরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার পরই এর খনন কাজ শুরু হবে। আশা করা হচ্ছে ডিসেম্বরের মধ্যেই এর খনন কাজ শুরু হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সরাইল উপজেলার আজবপুর তিতাস নদীর উৎপত্তিস্থল থেকে নাসিরনগরের কুন্ডা, সরাইলের শাহবাজপুর, আখাউড়ার বড় বাজার, সদর উপজেলার উজানিসার ঘুরে গোকর্নঘাট হয়ে তিতাস নদীর বিভিন্ন স্থানে ৯০ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার খনন করা হবে।

এছাড়া পাগলা নদীর খারঘর ও লালপুর এলাকার ৯ কিলোমিটার এবং এন্ডারসন খালের ৩ কিলোমিটার এলাকা নদী খনন করা হবে। তিতাস নদী খনন হলে গ্রীষ্ম মৌসুমে এ এলাকার ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া তিতাস নদী খনন হলে নৌ-চলাচলে সুবিধা বাড়বে। জেলায় মাছের উৎপাদন বাড়বে, দারিদ্রতা হ্রাস পাবে। জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পাওয়াসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে খনন কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, প্রকল্পটি ৫ বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী তিতাস নদী খনন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। একই সঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামালকেও ধন্যবাদ জানান।






Shares