তিতাসের গ্যাস কূপে সন্ত্রাসী হামলা, রহস্যঘেরা মামলা, ৯ আনসার সদস্য প্রত্যাহার (জিডি)
ডেস্ক ২৪:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাস কূপে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৬০/৭০ জন দুস্কৃতিকারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানী লিমিটেডের ডিজিএম (সিকিউরিটি) জুলফিকার আলী আনসারী বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। তবে ঘটনার পরপর কোম্পানীর লোকজন এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে বক্তব্য দিলেও রহস্যজনক কারণে তারা এজাহারে কারও নাম দেননি। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে পুলিশ এখন পর্যন্ত গেপ্তার করতে পারেনি। এ দিকে এ ঘটনায় দ্বায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ক্যাম্প কমান্ডারসহ ৯আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানীর তিতাস গ্যাস ফিল্ডের লোকেশন জে-এর ২৫ নম্বর কূপ খনন এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ৩০/৩৫ টি মোটরসাইকেলে ৬০/৭০ সন্ত্রাসী সেখানে এসে জোরপূর্বক সংরক্ষিত কূপ খনন এলাকায় ঢুকে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়-দুর্বৃত্তরা অবস্থায় কূপ খনন এলাকায় প্রবেশ করে কূপের খনন কাজ বন্ধ করে দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মী জানান, দুর্বৃত্তরা প্রকৌশলী জাহিদ হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। তারা প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ হোসেন চুন্নুর কাছে জানতে চায় এখানে কারা তেল,গাড়ি এবং খাবার সরবরাহ করে।। তখন তিনি তাদের এসব সাপ্লাইয়ে জড়িতরা ঢাকায় থাকেন বলে জানালে তাকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতে করতে অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে যায়। ওই সময় ২৫ নং গ্যাস কূপে চীনা, অস্ট্রেলিয়ান ও আমেরিকার শ্রমিকরা খনন কাজ করছিল। অস্ত্র দেখে ও হামলায় বিদেশী শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়। এ ঘটনায় অন্তত আধাঘণ্টা তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের খনন কাজ বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পুনরায় খনন কাজ শুরু হয়। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডের সিনিয়র কর্মকর্তারা ঘটনাস্থালে পৌঁছে বিদেশী শ্রমিকদের কাজে যোগদানের ব্যবস্থা করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মইনুর রহমান বলেন, অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে গ্যাস ফিল্ড থেকে অভিযোগ দিয়েছে। বিজিএফসিএল’র প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (জিএম নিরাপত্তা) জুলফিকার আলী আনসারী বলেন, ঘটনার সময় সশস্ত্র আনসার মোতায়েন ছিল। তাদের লোকসংখ্যা বেশি হওয়ায় আনসাররা কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বাড়ানো হয়েছে সার্বিক নিরাপত্তা।ঘটনার পর থেকে বিদেশী শ্রমিকরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা এবং আতংকে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন।