ডা. আবু সাঈদ গ্রেফতার



বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাক্তার মো. আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯ এর সদস্যরা।
রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলীর ঘাটুরা এলাকার তার নিজ প্রতিষ্ঠান ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আবু সাঈদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান এবং জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ও জেলা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানাযায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিস্ফোরক ও নাশকতার দায়ে গত ২৫ অক্টোবর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শহরের শেরপুর এলাকার বাসিন্দা আনিছুর রহমান। মামলায় জেলার সাবেক দুইমন্ত্রীসহ ২৪০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২শ/৩শ, জনকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় ২৩ নম্বর আসামি ডাক্তার মো. আবু সাঈদ। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ৪ আগস্ট সকালে সরকার পতনের একদফা দাবি ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষ ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে শহরের দিকে যাওয়ার সময় ফ্যাসিস্ট সরকারের ক্যাডার বাহিনী বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র, ককটেল, হাতবোমাসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলা করে ছাত্র-ছাত্রীদের আহত করে। এ সময় ছাত্র-জনতাসহ এলাকার সাধারণ মানুষ তাতে বাধা দিলে আসামিরা শতশত ককটেল ও হাতবোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে। এ সময় মোটর সাইকেল, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ক্ষতিসাধন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। ৪ আগস্ট সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সন্ধ্যায় তাকে আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে বিজ্ঞ আদালত পরদিন সোমবার শুনানির দিন ধার্য করে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন। অন্য মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে অস্থায়ী জামিনে রয়েছেন।