টাঙ্গাইল শাহীন স্কুল/কোচিং এর অনিয়ম দূর্নীতি বন্ধের দাবীতে অভিভাবক,শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দের প্রতিবাদ সভা
ডেস্ক ২৪:: শাহীন স্কুল/কোচিং, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার দীর্ঘদিন যাবত চলে আসা অনিয়ম, দূর্নীতি ও শিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা হতে বঞ্চিত করায় প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা একত্র হয়ে গত ১০ মে মঙ্গলবার শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করে ।
এ সময় উপস্হিত শিক্ষকরা জানায়, শাহীন স্কুল/কোচিং, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ তাদের বেতন কাঠামো বৃদ্ধি ও আনুষাঙ্গিক বিষয়াদি প্রসঙ্গে পরিচালকবৃন্দের (আনোয়ার হোসেন, জাহিদ হাসান, ফরিদ আহমেদ) বরাবর আবেদন জানালে, পরিচালকবৃন্দ তাদের আবেদন আমলে না নিয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে তাদের সকলের সাথে রুঢ় আচরণ করে এবং প্রদত্ত আবেদন জানানোর কারণে তাদের সকলকে চাকুরী চ্যুতসহ বিভিন্ন ভয় দেখানো হয়। ঐ দিন ইভিনিং (কোচিং) কার্যক্রম শুরু হলে একজন শিক্ষককে অফিসে ডেকে নিয়ে ০১ ঘন্টা যাবত মানসিক নির্যাতন করেন এবং অলিখিত কারণবিহীন ভাবেই তাকে চাকুরীচ্যুত্ত করা হয়। চাকুরীচ্যুতির কারণ জানতে চাইলে তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি (জেল জরিমানা) হুমকী দেওয়া হয়। তারপর ১১ মে বুধবার সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়ে সকাল ৭ টায় শাহীন স্কুল/কোচিং এ অবস্থান করেন এবং পরিচালকদের নিকট ঐ শিক্ষককে চাকুরীচ্যুত করার কারণ ও লিখিত প্রমাণ চাইলে পরিচালকবৃন্দ সকল শিক্ষককের সাথে রূঢ় আচরণ করেন এবং সকলকে চাকুরীচ্যুত করে টাঙ্গাইল হতে শিক্ষক এনে স্কুল/কোচিং কার্যক্রম চালানোর কথা বলেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঐ দিন সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা সকাল আনুমানিক সাড়ে ৭ টার সময় ক্লাশ বর্জন করেন। ক্লাশ বর্জন করার কারণে পরিচালকবৃন্দ সকল শিক্ষককে স্কুল প্রাঙ্গন হতে বের হয়ে যেতে নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিরুপায় হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইন্ডাষ্ট্রিয়াল স্কুল মাঠে সমবেত হন।
এরপর পরই শাহীন স্কুল/কোচিং টাঙ্গাইল এর প্রধান কার্যালয় হতে টেনিং প্রাপ্ত শিক্ষিকাদের ০১৭১১-১৪৮৬৩১ নম্বর হতে ফোন করে তাদের চাকুরীচ্যুত করা হয় এবং তাদেরকে ট্রেনিং খরচ বাবাদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও তিন মাসের জেল প্রদানের হুমকী দেওয়া হয় । কয়েকজন শিক্ষিকাকে বলেন যে, আপনি অবিবাহিতা বুঝে নিয়েন আপনার অনেক বিপদ আছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা কোন উপায় বুঝতে না পেরে পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার এর শরনাপন্ন হন। পরবর্তীতে তারা জেলা প্রশাসক, শিক্ষা অফিসার এবং এমপি মহোদয় বরাবর শাহীন স্কুল/কোচিং এর অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধের স্মারকলিপি প্রদান করেন।
বিষয়টি এমপি মহোদয় আমলে নিয়ে জেলা প্রশাসককে জরুরী ভিত্তিতে দেখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। শিক্ষকবৃন্দের প্রতি পরিচালকদের রূঢ় আচরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম ও দূর্নীতি সম্পর্কে সকল অভিভাবকগণ অবগত হয়ে ১২ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় শাহীন স্কুল/কোচিং এর প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম বন্ধের দাবীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইন্ডাষ্ট্রিয়াল স্কুল মাঠে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন। সভায় সকল অভিভাবকগণ শিক্ষকদের ন্যায্য দাবী অবিলম্বে মেনে নেওয়ার জন্য শাহীন স্যার ও পরিচালকবৃন্দের প্রতি দাবী জানান।
এ বিষয়ে পরিচালক জাহিদ হাসান বলেন, তাদের দাবীর ব্যাপারে আমরা আশ্বাস দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা দলবদ্ধ হয়ে উত্তেজিত অবস্থায় কথা বলে। আমরা আশা করি দু’একদিনের মধ্যে এই সমস্যা সমাধান হবে।