জুয়া খেলায় বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ১০



ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিরাশার গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪টি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, এরমধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী সাবেক নেতাও রয়েছেন।
জুয়া খেলায় বিরোধের জেরে বিরাশের গ্রামের দু’পক্ষে গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার দু’দিনব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে আরেকটি মামলা করেছে। এছাড়া সংঘর্ষে জড়িত দু’পক্ষ অন্য দুটো মামলা করেছে।
পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনের মামলায় একজনকে ও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় ৪৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সংঘর্ষে জড়িত দু’পক্ষের মধ্যে সাহেব গোষ্ঠীর মুসা মিয়া বাদী হয়ে ২৪ জনের নামে মামলা করেছেন। এই মামলায় প্রতিপক্ষের নেতা আবুল কাসেম, বাবুল মিয়া (সবজী ব্যবসায়ী) ও সাদ্দাম মেম্বারকে আসামি করা হয়।
অন্যদিকে বড় গোষ্ঠীর নাসির আহমেদ বাদী হয়ে ৪৮ জনের নামে মামলা করেছেন। এই মামলাতেও প্রতিপক্ষের নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা তাজ মো. ইয়াছিন এবং পৌরসভার কাউন্সিলর মিজানুর রহমান আনসারীকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এবং নাটাই উত্তর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তাজ মো. ইয়াছিনকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। একইদিন ঘটনাস্থল থেকে ৫ রাউন্ড গুলি ও বিদেশি পিস্তলসহ হাতেনাতে গ্রামের বড় গোষ্ঠীর নুরুল ইসলামের ছেলে মো. জসিমকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। পরে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ৯ জনকে আটক করা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জুয়া খেলার টাকা নিয়ে গত সোমবার বিরাশার গ্রামের দুই যুবকের মধ্যে মারামারি হয়। এর জেরে গ্রামের বড় গোষ্ঠী ও সাহেব গোষ্ঠীর লোকজন সোমবার ও পরদিন মঙ্গলবার কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়ায়। মঙ্গলবারের সংঘর্ষে আহত হয় ৩৫ জন। এসময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, পুলিশের ওপর হামলার মামলায় ঘটনাস্থলে যারা ছিলে তাঁদের আসামি করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ইতোমধ্যে অবিস্ফোরিত ককটেল, পেট্রোল বোমা ও লাঠিসোটাসহ অনেক দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।