কালিসীমায় সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ মামলা, আসামী ২৩২



কালিসীমায় সোমবার দফায় দফায় হওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়াদের দুই পক্ষ থেকে দুটি মামলা দেওয়া হয়। এসব মামলায় মোট ২৩২ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, এসব মামলায় ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১৫ জন নারী। গতকাল সোমবার রাতে তাদের আদালতে পাঠায় পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃতদের জামিন হয়নি।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম, একই ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আরজু মিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনও আছেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের অনেকে সরাসরি সংঘর্ষে অংশ নেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সংঘর্ষে ইন্ধনদাতা হিসেবেও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা পরিষদ সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। ভাঙচুর করা হয়েছে ৩০টি ঘরবাড়ি। পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, গোষ্ঠীগত বিরোধে এ সংঘর্ষ হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের সোমবার রাতেই আদালত পাঠানো হয়। এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।