Main Menu

কাউতলীতে বোনের বাসায় ডাকাতির অভিযোগে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা দিদার গ্রেফতার

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে ডাকাতি করার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি দিদার আলম(২৫)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর রাত আনুমানিক ৪টা সময় তাকে তার কাউতলির নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশের কাছে আটককৃত দিদার আলম শহরের কাউতলি এলাকার মো. সেলিমের ছেলে।

দিদার শহরের বিভিন্ন স্থানে নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা দাবী করে ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়েছেন। দিদার নিজেকে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দাবী করতেন৷

পুলিশ ও ঘটনাস্থল সূত্রে জানা যায়. গত ৯ ডিসেম্বর দুপুর ২টা থেকে পৌণে চারটা পর্যন্ত পৌর এলাকার কাউতলীর নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামের পাশ ঘেঁষে সৌদিপ্রবাসী মো. রফিকুল ইসলামের ‘ড্রিম হাউজ’ নামে বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ২২ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫০ হাজার টাকা, চার লাখ টাকা মূল্যের একটি হাতঘড়ি নিয়ে যায়। দিন দুপুরে জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনায় আতঙ্ক দেখা দেয়।

এই ব্যাপারে এলাকায় খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, আপন চাচাতো বোনের বাড়িতেই ডাকাতি করেছে দিদার। তার আগেও তার নামে মোটরসাইকেল চুরিসহ একাধিক মামলাও রয়েছে।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মো. রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া খানম জানান, ছয়তলা বিশিষ্ট ওই বাড়িটির তিনতলায় তারা বসবাস করেন। বেলা আড়াইটার দিকে ফাইল নিয়ে দুইজন এসে দরজার নক করেন। গৃহকর্মী দরজা খোলে দিলে ওই দু’জন বলেন তারা গ্যাসের লাইন চেক করতে এসেছেন। এক পর্যায়ে আরো ছয়জন ঘরে প্রবেশ করে সবাইকে একটি কক্ষে নিয়ে জিম্মি করে ফেলেন। ঘরে প্রবেশ করা আটজনের হাতেই ধারালো অস্ত্র ছিলো।

তিনি বলেন, ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তারা ছেলে মেয়েকে হত্যা করে ফেলবে হুমকি দিয়ে সবকিছু দিয়ে দিতে বলে। স্বর্ণের লকার খুলতে পারছিলেন না বলে বারবার হত্যার হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ফোন করে লকারের জন্য ব্যাটারি আনায়। তাদের ফোনে ছোট একটি ছেলে ব্যাটারি দিয়ে যায়। এরপর পিনকোড দিয়ে লকার খোলার পর সেখান থেকে তারা ২২ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এছাড়া আলমীরা থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও একটি রোলেক্স ঘড়ি নিয়ে যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. ইসতিয়াক আহমেদ জানান, প্রযুক্তির সহায়তার নিয়ে ব্যাটারি নিয়ে আসা শিশুটিকে সনাক্ত করা হয়। ওই শিশুটি প্রবাসীর স্ত্রী রাবেয়া খানমের চাচাতো ভাই কাউতলী এলাকার দিদারের দোকানের কর্মচারি। দিদারের কাছে ফোন করে ব্যাটারি আনায় ডাকাতদল। মূলত দিদার ওই বাড়িতে নিয়মিত যাওয়া-আসার সুবাদে স্বর্ণালংকারের কথা জানতো। পরিকল্পনা মতো সে ‘ভাড়া করা’ লোক এনে চাচাতো বোনের বাড়িতে ডাকাতি করায়। রিমান্ডে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী খায়রুল বলেন,, বিভিন্ন অভিযোগে দিদারকে অনেক আগেই সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন সে ছাত্রলীগের নাম বেঁচে চলে বলে অভিযোগ পেয়েছি। বিভিন্ন স্থানে ব্যানার-ফেস্টুন সহ-সভাপতি পদ দেখা গেছে। এ দায়ভার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ নিবেনা।






Shares