কথিত ফেসবুকভিত্তিক ‘পথিক টিভি’র কার্যালয়ে অভিযান, কম্পিউটার জব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হওয়া কথিত ফেসবুকভিত্তিক টিভি ‘পথিক টিভি’র কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে কম্পিউটার জব্দ করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে জেলা শহরের টি এ রোডস্থ জমিলা ম্যানশনের তৃতীয় তলায় ওই টিভির কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্যসহ একাধিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মানহানিকর ভিডিও প্রচার ও আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে গত ৭ জুলাই পথিক টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিটন হোসাইন ওরফে জিহাদ ও তাঁর ছোট ভাই চীফ ভিডিও এডিটর আর জে সাখাওয়াতের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব দীপক চৌধুরী।
মামলার এজাহার সূত্রে থেকে জানা গেছে, মামলার আসামীরা লিটন হোসাইন ও তাঁর ছোট ভাই আর জে সাখাওয়াত নামমাত্র সাংবাদিক। সাংবাদিকতার পরিচয়ে প্রতারণা করা তাদের নেশা ও পেশা। গত ১৬ জুন লিটন তাঁর ফেসবুকে লিখেন, “পথিক টিভির সমালোচনাকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সেই সকল সদস্যদের প্রতি আমার ঘৃণা। তাঁদের জন্ম পরিচয় নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। তাই সমালোচনাকারীদের জন্মের ইতিহাস নিয়ে তৈরি করা পথিক টিভির সেই দুটি ভিডিও দেখতে পারেন। কমেন্ট বক্সে লিঙ্ক দেওয়া আছে”। একই দিন দুপুরে লিটন আবার তার ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেন, “লোকগুলোকে চিনে থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। আপনি তথ্য দিন। পথিক টিভিকে কেন্দ্র করে যারা বাজে মন্তব্য দিচ্ছেন, তাদের জীবন আচার নিয়ে আগামীকাল লাইভে আসবো। রোমাঞ্চকর স্টোরি শুনাবো সবাইকে”। এছাড়াও আরো অনেক আপত্তিকর কথাবার্তা লেখা হয়েছে। গত ১৭ জুন মামলার দুই নম্বর আসামী লিটনের ছোট ভাই সাখাওয়াত লিটনের প্ররোচনা ও সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্যদের উদ্যেশ্য করে পথিক টিভির ফেসবুক পেইজে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। যেখানে বলা হয়, ‘সাংবাদিক লেবাসধারীরা পথিক টিভির কার্যালয় ঝাড়ু দিতো। তাঁরা এই শহরের নর্দমা বা বস্তি থেকে উঠে আসা কিছু মানুষ।’ এসব বক্তব্য ওই ভিডিওতে রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব দীপক চৌধুরী বলেন, আমরা সবসময় অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। সঠিক সাংবাদিকতাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কথিত ওই অনলাইন টিভির নামধারী দুই সাংবাদিক খুবই আপত্তিজন বক্তব্য ও মন্তব্য করেছেন। আর তারা মূল ধারার সাংবাদিকও না। তিনি বলেন, একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান ও সেটির সঙ্গে যুক্ত দেশের জাতীয় দৈনিকের গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে এমন আপত্তিকর মন্তব্য কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ফেসবুকে অনলাইন টিভির খুলে যা ইচ্ছে করার লাইসেন্স তাদের কে দিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (অভিযান) ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, রোববার রাতে ওই টিভির র্কাযালয়ে অভিযান চালিয়ে কম্টিউটার জব্দ করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।