একজন সফল রাজনীতিবিদের অনন্য দৃষ্টান্ত তিনি_ এডঃ হুমায়ুন কবীর এর আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ “আমার জীবন স্মৃতি-২” প্রকাশনা উৎসবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল এমপি বলেছেন, আলহাজ্ব এডঃ হুমায়ুন কবীর সারাজীবন দেশ জাতি ও সমাজের উন্নয়নে সারাজীবন অবদান রেখেছেন। তিনি জনমানুষের প্রিয়নেতা এবং ছিলেন দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব। তিনি তাঁর আত্মজীবনী আমার জীবন স্মৃতিতে দীর্ঘ সামাজিক, রাজনৈতিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধের কথা তুলে ধরেছেন। মানুষের জন্য কাজ করে তিনি মানুষের মন জয় করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শান্তি শৃৃঙ্খলা রক্ষা, দাঙ্গা হাঙ্গামা মিমাংসা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আধুনিকায়ন, শিক্ষার প্রসারে উনার অবদান অনেক। তিনি আজ অসুস্থ, বাকরুদ্ধ, প্রিয় মানুষটির এ অবস্থা দেখে মনে কষ্ট পেয়েছি। তবে উনার গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে এসে তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা দেখেও মুগ্ধ হয়েছি। বাকরুদ্ধ হয়ে তিনি থেমে থাকেন নি। এখনও তিনি সমাজকে এগিয়ে নিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চেষ্টা করছেন। এটাই একজন সফল দেশপ্রেমি জনপ্রেমি রাজনীতিবিদের অনন্য দৃষ্টান্ত।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীরমুক্তিযোদ্ধাদের রয়েছে দেশপ্রেমের নানা ত্যাগ এবং গৌরবোজ্জ্বল দেশপ্রেমের বীরত্বগাঁথার ইতিহাস। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মজীবনী পড়লে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমের শিক্ষা নিতে পারবে। তিনি সেই শিক্ষায় নতুনপ্রজন্মকে দেশপ্রেমিক নাগরিক হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণ ভূমিকা রাখার আহবান জানান। তিনি বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক উপমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনমানুষের প্রিয় নেতা আলহাজ্ব এডভোকেট হুমায়ুন কবীরের আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থে মহান মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনা তুলে ধরেছেন। বইটি পড়ে আমি মুগ্ধ হয়েছি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রণাঙ্গনের আমার নানা স্মৃতি মনে পড়ছে।
শনিবার মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী, জনমানুষের প্রিয় মানুষের প্রিয় নেতা, সাবেক উপমন্ত্রী বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব এডভোকেট হুমায়ূন কবীরের আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ “আমার জীবন স্মৃতি-২” গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে মোড়ক উন্মোচন শেষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে দুপুরে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, বিশিষ্ট লেখক, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, চট্রগ্রাম রেঞ্জ- এর ডিআইজির ড.এস এম মনির-উজ জামান বিপিএম পিপিএম, জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান,পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম বার, সমাজসেবায় রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রাপ্ত সমাজসেবক জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।
আলহাজ্ব এডঃ হুমায়ুন কবীরের সহধর্মিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গ্রন্থ নিয়ে আলোচনা করেন সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন ও আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান মিয়া (মিঞা ভাই), লায়ন্সের সাবেক জেলা গভর্ণর স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড এর উদ্যোক্তা পরিচালক লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি আল আমীন শাহীন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী নাঈমা ফেরদৌস।
এদিকে এ প্রকাশনা উৎসবকে ঘিরে সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে বীরমুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি স্কুল কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রন্ক্সি মিডিয়ার সাংবাদিক সহ নানা শ্রেনী মানুষের উৎসব মুখর মিলনমেলা জমে। প্রিয়নেতার গ্রন্থের মোরক উন্মেচনে অংশ নেয় বিপুল সংখ্যক ভক্ত অনুসারী।
এদিকে গভীর আন্তরিকতা মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌছলে কোমলমতি সু-সজ্জিত শিশুরা নৃত্য গানে ফুলে ফুলে তুমুল করতালি দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে হাস্যোজ্জ্বল আলহাজ্ব এডঃ হুমায়ুন কবির আন্তরিক অভ্যর্থনা জানান। এই সময়ে সভায় এই মিলন পর্বে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় অংশ গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন মাওঃ মুফতি হাদিয়াতুল্লাহ্ নূর ও পবিত্র গীতা পাঠ করেন আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক পঙ্কজ দেব।
অনুষ্ঠানে ভাষা আন্দোলনে শহীদ ও ভাষা সংগ্রামী মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও আত্মত্যাগী মুক্তিযোদ্ধাদের এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ শাহাদাৎ বরণকারী পরিবারের সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে এক মিনিট দাড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান আলহাজ্ব এডঃ হুমায়ুন কবির। গ্রন্থ নিয়ে আলোচনায় কবি জয়দুল হোসেন ও অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম আলহাজ্ব এডঃ হুমায়ুন কবিরের গৌরবোজ্জ্বল অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিথিবৃন্দ জন মানুষের প্রিয় নেতার ভূয়সী প্রশংসা করে আত্মজীবনী প্রকাশের দৃঢ় মনোবলের কথা উল্লেখ করে তাঁকে স্বাগত জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন আলহাজ্ব এডঃ হুমায়ুন কবির এবং সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন এবং সভাপতির পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির সকলের প্রতি পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা ও স্বতস্ফূর্ততায় এই অনুষ্ঠানে সার্বিক সমন্বয় ছিলেন দৈনিক দিনদর্পণের নির্বাহী সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহজাদা, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন বেপারী।
এছাড়া অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে পুলিশ বাঁধা দেয় না। সরকার কোন শান্তিপূর্ন সমাবেশ মিটিং সেটা রাজনৈতিক হোক সামাজিক হোক কোনটাতেই বাধা দিচ্ছে না। পারমিশন দেয়ার সময় আমাদের আবেদন থাকছে যাতে কর্মসুচী শান্তিপূর্ন ভাবে করা হয়। ২২ ফেব্র“য়ারী ঢাকায় বিএনপির মহা সমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্প্রতি সভা সমাবেশ এর উপর ডিএমপি কমিশনার যে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে তা এখনো প্রত্যাহার হয়নি। সেটা প্রত্যাহার হলে কোথায় সমাবেশ করলে শান্তি শৃংখলা বিঘিœত হবে না তা পুলিশ কমিশনার স্থির করবেন। তিনি বলেন, স্থান নির্ধারন করবেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন আপনারা দেখেছেন সম্প্রতি পুলিশকে বেদম পিটিয়ে, পুলিশের রাইফেল ভাঙ্গা হয়েছে, প্রিজন ভ্যান ভেঙ্গে আসামীদের বের করে নেয়া হলো তারপরও পুলিশ ফায়ার ওপেন করেনি, পুলিশ অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার এবং পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে।