আর মাত্র কয়েক ঘন্টা, মহাষষ্ঠীতে দেবী আসবেন ঘোড়ায় চড়ে
মনিরুজ্জামান পলাশ :: অশুভ শক্তির বিনাশ আর শুভ শক্তির আগমনী বার্তা নিয়ে আসছে দেবী দূর্গা। দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে ব্রাক্ষনবাড়িয়ায় শেষ মূহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় কাটছে প্রতিমা শিল্পীদের। উৎসব উদযাপনে জন্য ইতিমধ্যেই ভক্তরা শেষ করেছেন কেনা কাটা। বৃহৎ এ উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলা জুড়ে নিছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার ৫ শতাধিক মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তাই নির্ঘুম রাত কাটছে প্রতিমা শিল্পীদের। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আর মাত্র কয়েকঘন্টা বাকী; শঙ্খের ধ্বনি আর ঢাকের তালে দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিতে উল্লসিত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ধরনীকে মহিমান্বিত করতে প্রতি বছরেই সার্বজনীন এ শরদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে, এবার দেবী আসবেন ঘোড়ায় চড়ে আর যাবেন দোলায় চড়ে। তাই দেবী দুর্গাকে নিজের মত বরণ করে নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ মূহুর্তের ব্যস্ততা। সে সাথে রং তুলির নিখুঁত আঁচড়ে রঙ্গিন হয়ে উঠছে প্রতিমা। আর এগুলো নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটছে প্রতিমা শিল্পীদের। ১৯ শে অক্টোবর দেবীবোধনের মধ্যদিয়ে পূজার শুরু হয়ে ২২শে অক্টোবর বিজয়া দশমীর মাধ্যমে পরিসমাপ্তি ঘটবে সার্বজনীন এ মহোৎসবের। এবারও গতবারের মত নবমী ও বিজয়া দশমীর তিথী একই দিনে হওয়ায় একদিন কম পূজোর সময় পাবেন ভক্তরা।
এদিকে মহোৎসবের রঙ্গে নিজিকে রাঙ্গিয়ে নিতে ভক্তরাও শেষ করেছেন কেনাকাটা। শহরের পাইকপাড়ায় কথা হয় কয়েকজন বক্তের সাথে। তারা জানান, ইতি মধ্যেই তারা নতুন প্যান্ট, শার্ট ও পাঞ্জাবি কিনে নিয়েছেন । পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে ফিরে সর্ব বৃহৎ এ ধর্মীয় উৎসব পালন করতে চান তারা।
অন্যান্য বারের ন্যয় আনন্দপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ কালিবাড়ি মন্দির পূজা উৎযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক রাকেশ বণিক। নির্বিঘ্নে পূজা উৎযাপনের জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থার সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার দাবি তার।
পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, পূজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বলয়ের কথা। তিনি জানান, জেলার প্রতিটি পূজো মন্ডপে দায়িত্ব পালন করবেন আনসার সদস্যরা। এছাড়াও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য একজন করে পরিদর্শকের নিয়ন্ত্রনে একটি পুলিশ টিম কাজ করবে। তারা নির্দিষ্ট এলাকার পূজা মন্ডপ প্রতিনিয়ত নজরদারিতে রাখবে। আর গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপগুলোতে সরাসরি কাজ করবে পুলিশ সদস্যরা। এছাড়াও প্রতিটি মন্ডপের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়ে পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকতা বলেন, স্বেচ্ছা সেবকদের পরিচয় পত্র দেয়া থাকবে, যার মাধ্যমে পুলিশ সদস্যরা তাদের সাথে যোগাযোগ রাখবে। সর্বোপরি নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উৎযাপনে পুলিশ সচেষ্ট আছে বলে জানান তিনি।
সার্বজনীন এ উৎসব সকলের প্রচেষ্টায় আনন্দঘন ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হবে এ প্রত্যাশা সকলের।