আমার চার হাজার টাকা দামের জুতা খুলতে পারবনা, শহীদ মিনারে- আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের সভাপতি
মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের করা সংগঠন ” আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান”। সেই সংগঠনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি এডভোকেট এনামুল হক কাজল রবিবার প্রথম প্রহরে ফুল নিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে সরকারি কলেজ প্রাঙ্গনে উপস্থিত। সঙ্গে সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা। শহীদ মিনারে উঠার সময় সংগঠনের এক নারী সদস্য বলেন, ভাইয়া জুতা গুলো খুলে শহীদ বেদিতে উঠেন। তখন তিনি প্রতিউত্তরে জানান, আমার চার হাজার টাকা দামের জুতা খুলতে পারবনা। এর পর তিনি জুতা নিয়েই শহীদ মিনারের বেদিতে উঠেন এবং পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করেন।
(উপরের ছবিতে ''আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান'' ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সদস্যরা ফুল দিচ্ছেন।)
তিনি তো মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, তাই শহীদের ভালাবাসার স্মৃতি চিন্হে জুতা চারণায়ও তিনি ভ্রুক্ষেপ করেন নাই। আবার তার বাবা শহীদ হলে তিনি হইত তা করতেন না।
রবিবার প্রথম প্রহরে এমন শ” খানেক শহীদ প্রেমিকে দেখা গেছে শহীদ মিনারকে জুতা চারণায় অবমাননা করতে।
ছাত্র নেতা ও জামান এন্টারপ্রাইজের মালিক জামান খানকে দেখা গেছে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে জড়িয়ে জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে দাড়িয়ে রয়েছেন।
এ ছাড়া সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কয়েক নেতাকর্মীকে দেখা গেছে ফুল দিচ্ছে পোজে জুতা পড়ে দাড়িয়ে আছেন।
ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ঢাকা উত্তর রিদওয়ান আনসারী রিমো ফুল দেয়ার সময় তার কয়েক জন কর্মীকে জুতা পায়ে শহীদ মিনারে দেখা গেছে যদিও রিমো জুতা খুলেই বেদিতে গিয়েছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রবীণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মনজুরুল আলমের মতে, জুতা নিয়ে যেখানে শহীদ বেদীতে উঠা শহীদদের অবমাননা। এ মাধ্যমে সন্মান জানাতে গিয়ে শহীদদের অপমান করা হলো।