আমাকে সাম্প্রদায়িক বানানোর অপচেষ্টা চলছে:: নবান্নে উৎসব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোকতাদির চৌধুরী এমপি



ডেস্ক ২৪:: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়েরর উপর চালানো হামলার ঘটনায় আমার নাম জড়িয়ে আমাকে সাম্প্রদায়িক বানানোর অপচেষ্টা চলছে।
১৮ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্ত্বরে আয়োজিত নবান্ন উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমি দুদিনব্যাপী এ নবান্ন উৎসবের আয়োজন করে।
নবান্ন উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক এডঃ মোঃ আবু তাহেরের সভাপতিত্বে তিনি বলেন, আমাকে যদি সাম্প্রদায়িক বানানো যায় তাহলে অনেকগুলো সুবিধা হবে! ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাজনীতির সঙ্গে সংস্কৃতির যে সংযোগ গড়ে ওঠেছে সেটি ধ্বংস করা যাবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোন সাংস্কৃতিক উৎসব হবে না, কোনো নৌকাবাইচ হবে না, পুতুল নাচ হবে না। আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি উদার সংস্কৃতির মাঠ গড়ে তোলার চেষ্টা করছি, অনেকাংশে আমরা সফলও হয়ের্ছি।
তিনি আরও বলেন, নাসিরনগরে হামলার পরপরই আমি একটি ফতোয়া দিয়েছি। আমি বলেছি, যারাই নাসিরনগরে হামলা চালিয়েছে তারাই মুরতাদ হয়ে গেছে। যারা ইসলাম থেকে ফিরে যায় তারাই মুরতাদ। ইসলাম বলেছে, অন্য ধর্মালম্বী কোনো নিরীহ মানুষ এবং উপাসনালয় নষ্ট করা যাবে না।
তিনি বলেন, ১২ জানুয়ারি যারা উস্তাদ আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, ধরীন্দ্রেনাথ দত্ত ভাষা চত্বর ও রেলওয়ে স্টেশনে হামলা চালিয়েছিল তাদেরকে যদি চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা যেতো তাহলে নাসিরনগরে হামলার ঘটনা ঘটতো না। গতকালও ঝালকাঠিতে একটি মন্দির ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। দেশের আরও অনেক জায়গায় এ ধরণের হামলা চালিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাতের জন্য সুপরিকল্পিত চেষ্টা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে কবি আবু হাসান শাহরিয়ারকে নবান্ন উৎসব সম্মাননা প্রদান করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ এস. আর. এম ওসমান গণি সজীব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী।
স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন রবিউল আলম রবি ও আক্তারুজ্জামান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এডঃ লিটন দেব। পরে সঙ্গীত পরিবেশন করেন রত্না দত্ত দে। নবান্নের কবিতা পাঠ করেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠন।