আগুনে পুড়ে অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পারায় ৫ম শ্রেণীতে এসে কি মীমের লেখা পড়ার সমাপ্তি ঘটবে ! সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা
ষ্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারি সাহায্য সবার ভাগ্যে থাকেনা। এমনটাই বললেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পৌর এলাকাধীন শিমরাইলকান্দি খাদ্য গুদামের পাশের আবু সালেক মিয়ার বাড়ির ভাড়াটে অধিবাসী রিক্সা চালক রোমান মিয়ার স্ত্রী শুরুফা বেগম। তিনি জানান, গত তিন বছর আগে গ্যাসের চুলা থেকে আগুন লেগে রিক্সা চালক রোমান মিয়ার কন্যা মোসাঃ মীম (১০) এর শরীরের প্রায় ৩০% পুরে যায়। তাদের ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে। মীমই হলো সংসারের বড় সন্তান। সে বর্তমানে শিমরাইলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। তার মা শুরুফা বেগম মানুষের বাসায় কাজ করে। বর্তমানে মীমের মা বাবার সিদ্ধান্ত, মীমকে আর স্কুলে পাঠাবেনা। তাহলে কি ৫ম শ্রেণীতে এসে মীমের পড়া লেখার সমাপ্তি ঘটবে ?
মীমের মায়ের সাথে সাক্ষাৎ করে স্কুলে না পাঠানোর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমাদের অভাবের সংসার। ৬ জন মানুষের ভরন পোষন যোগাতেই হিমশীম খেতে হয় রিক্সা চালক রোমান মিয়ার। তাছাড়া মেয়েটার শরীরে পোড়া জখম এর যে মর্মান্তিক অবস্থা বড় হলে কে বিবাহ করবে আমার মেয়েকে, কি হবে তার।
মীমের মা শুরুফা বেগম আরও বলেন, আমি মানুষের কাছে শুনেছি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান পি. পি. এম (বার) (বর্তমান এডিশনাল ডিআইজি) গরীবের দরদী। আমি তার কাছে যেতে পারলে আমার মেয়েটার একটা উপায় হতো। কিন্তু কার মাধ্যমে যাব? এই অসহায় পরিবারটি পুলিশ সুপার এর পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল বিত্তবান মানুষের সহায়তাও কামনা করছে।