অধ্যাপক এ. কে. এম. হারুনুর রশীদের ১০ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় গতকাল বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, কবি-গীতিকার-নাট্যকার-সুরকার ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রয়াত অধ্যাপক এ. কে. এম হারুনুর রশিদের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়।
এ উপলক্ষে গতকাল সকাল ৮টায় প্রফেসর মোখলেছুর রহমান খানের নেতৃত্বে শেরপুরস্থ মনির খান ট্রাষ্টের কবরস্থানে প্রয়াতের কবরে পুষ্পার্ঘ অর্পন ও ফাতেহা পাঠ করা হয়। এসময় তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে প্রয়াতের কবরে পুষ্পার্ঘ অর্পন করা হয়। বিকেলে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে অধ্যাপক এ. কে. এম. হারুনুর রশীদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্মৃতি পরিষদের সভাপতি প্রফেসর মোখলেছুর রহমান খানের সভাপতিত্বে এবং তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক মনির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক এস. আর. ওসমান গণি সজিব, জেলা সুজনের সাধারণ সম্পাদক এ. কে. এম শিবলী, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আবু হোরায়রাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদের সভাপতি সাংবাদিক আল আমীন শাহীন, দৈনিক কুরুলিয়ার সম্পাদক ইব্রাহিম খান সাদাত প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক আবদুন নূর। আলোচনা সভায় বক্তারা প্রয়াতের সৃষ্টিকর্মকে একত্রিত করে প্রকাশের জন্য জেলা শিল্পকলা একাডেমীর প্রতি দাবি জানান। একই সাথে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর হল রুমটি অধ্যাপক এ. কে. এম. হারুনুর রশীদের নামে করারও দাবি জানান। সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর মোখলেছুর রহমান খান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অধ্যাপক হারুনুর রশীদের মতো মানুষের বড়ই প্রয়োজন ছিল। অধ্যাপক হারুনুর রশীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হলে তিনি যে আদর্শ লালন করতেন সেই আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য সকলকে কাজ করতে হবে। তিনি তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলোর জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সমস্ত শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। আলোচনার ফাকে ফাকে অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের অমিতাভ চক্রবর্তী তন্ময়, সানজিয়া আফ্রিন, সৌরভী নাসরিন শাওন, জান্নাতুল ফেরদৌস বৃষ্টি ও পূর্ণিমা দাস।প্রেস রিলিজ