সন্তানকে ছাদ থেকে ছুড়ে ফেলে মায়ের আত্মহত্যা::তদন্ত কমিটি



একটি বেসরকারি ক্লিনিকের ছাদ থেকে নিজের শিশুসন্তানকে নিচে ছুড়ে ফেলে হত্যার পর গৃহবধূ সীমা আক্তারের (২৫) আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঘটনার চার দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাসুম ইফতেখারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
সিভিল সার্জন ডা. নিশীত নন্দী মজুমদার কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ শে অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের পুরাতন জেল রোডস্থ পাঁচতলা বিশিষ্ট বেসরকারি ক্লিনিক ‘দি ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্পেশালাইজড হাসপাতাল’ এর ছাদ থেকে নিজের চার দিন বয়সী ছেলে সন্তানকে নিচে ছুড়ে ফেলে দিয়ে হত্যার পর সীমা নিজেও লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন।
নিহত সীমা সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের ঘাটিয়ারা ফুলচং গ্রামের মনির মিয়ার স্ত্রী। গত ১৬ অক্টোবর বিকেলে প্রসব বেদনা নিয়ে ল্যাব এইড হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী লাইফ কেয়ার শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি হন সীমা। ওইদিন রাতেই সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। ১৯ অক্টোবর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল সীমার।