মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর সিল মোহর তৈরী করতে এসে হাতেনাতে আটক



প্রেস বিজ্ঞপ্তি::ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৯ জানুয়ারী, ২০১৭ খ্রি: সদর উপজেলার চাপুইর গ্রামের জনৈক মুফতী সৈয়দ আবদুল মুবিন চাপুইরী (পীর সাহেব, চাপুইর দরবার শরীফ)-কে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি’র নামাংকিত শীলমোহর তৈরীর অভিযোগে আটক করা হয়।॥ উক্ত ব্যক্তি দুপুর ১ টায় কোর্ট রোডস্থ “শুভেচ্ছা কম্পিউটার এন্ড রাবার স্ট্যাম্প” নামের দোকানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক এমপি’র নামাংকিত শীলমোহর তৈরী করতে আসে তখন দোকানের মালিক ছিল না। কর্মচারীর নিকট শীলমোহরটি আর্জেন্ট (এক ঘন্টার মধ্যে) তৈরির জন্যে একশত ত্রিশ টাকা নগদ পরিশোধ করে চলে যান।
আধঘন্টা পর দোকানের মালিক এসে অর্ডারটি দেখতে পেয়ে শীলমোহরটি তৈরি করতে বাধা দেন এবং মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার আলহাজ্ব মো: হারুণ-অর-রশিদকে ফোন করে জানান। জেলা কমান্ডার শীলমোহরটি সরবরাহ নিতে আসলে সাথে সাথে তাঁকে ফোন করতে বলেন। জোহরের পর উক্ত ব্যক্তি শীলমোহর সরবরাহ নিতে আসলে মালিক জেলা কমান্ডারকে ফোন করে জানান। জেলা কমান্ডার তৎক্ষণাৎ উক্ত দোকানে পৌঁছান। এ সময় ওখানে অ্যাড: আবদুল হাই উপস্থিত ছিলেন। তাকে সাথে নিয়ে জেলা কমান্ডার উক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। পরে জেলা কমান্ডার পুলিশ সুপার জনাব মিজানুর রহমান পিপিএমকে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করার পর এসআই আনিসের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীর ৪ সদ্যসের একটি টীম এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান।
মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই-এর যে কার্যক্রম চলছে তাতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা বানানো এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে বাদ দেয়ার গভীর ষড়যন্ত্র বলে জেলা কমান্ডার মনে করেন।