Main Menu

ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ, কবর থেকে তোলা হলো শিক্ষিকার লাশ

+100%-

স্কুল শিক্ষিকা নওশীন আহমেদ দিয়ার (২৯) ঘটনায় ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ওঠেছে। এই কারণে আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর এলাকার শেরপুর কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তনিমা আফ্রিদির উপস্থিতিতে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

এর আগে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ তুলে সংশ্লিষ্ট তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন প্রসূতি নওশীনের বাবা শিহাব উদ্দিন গেন্দু। আদালত মামলাটি নথিভুক্ত করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। পরে রাতেই পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে মামলার আসামিরা হচ্ছেন, পৌর এলাকার মুন্সেফপাড়ার খ্রিস্টিয়ান মোমোরিয়াল হাসপাতালের ডা. ডিউক চৌধুরী, ডা. অরুনেশ্বর পাল অভি ও ডা. মো. শাহাদাত হোসেন রাসেল। তাদের মধ্যে ডা. ডিউক চৌধুরী ওই হাসপাতালটির মালিক।

মামলার এজাহারে বলা হয়, শহরের মুন্সেফপাড়াস্থ ক্রিসেন্ট কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা নওশিন আহম্মদ দিয়া প্রসব বেদনা নিয়ে গত ৩০ অক্টোবর খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তার আগাম প্রসবের ব্যবস্থা করা হয়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগেই দিয়াকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়ায় হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী এলাকায় তার স্বামীর বাড়িতে নেয়া হয় তাকে।

৪ নভেম্বর ভোরে দিয়ার প্রচণ্ড মাথা ব্যথা শুরু হলে তাকে আবারও খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের স্বত্ত্বাধিকারী ডিউক চৌধুরী ও চিকিৎসক অরুনেশ্বর পাল অভি এবং মো. শাহাদাত হোসেন রাসেল ‘ভুল ইনজেকশন এবং ওষুধ’ প্রয়োগ করার পর দিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

এজহারে আরও বলা হয়, দিয়ার অজ্ঞান হওয়ার বিষয়টি গোপন করে চিকিৎসার নামে সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন তারা। এ সময় দিয়ার স্বজনরা মেডিসিনের অভিজ্ঞ চিকিৎসককে ডাকতে বললে ডিউক ও বাকি দুই চিকিৎসক চুপ থাকেন। এক পর্যায়ে দিয়ার মৃত্যু হলেও তার মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে ওইদিন দুপুর একটার দিকে দ্রুত তাকে ঢাকা নিয়ে যেতে বলেন। অ্যাম্বুলেন্সে করে দিয়াকে নিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে পৌঁছানোর পর সেখানে চিকিৎসকরা কয়েক ঘণ্টা আগেই দিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।

তবে সপরিবারে দেশের বাইরে অবস্থান করার কারণে মামলার ব্যপারে ডা. ডিউক চৌধুরীর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দিন জানান, আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়। ঘটনার তদন্ত করছেন তারা। আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আজ কবর থেকে নওশীনের লাশ উত্তোলন করে জেলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করানো হয়।সুত্র::কালের কণ্ঠ, জাগো নিউজ






Shares