Main Menu

ভাগনির সংসারে কলহের জেরে খুন হন প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই ছেলে, জামাই গ্রেপ্তার

+100%-

ভাগনির পারিবারিক কলহের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই ছেলে খুন হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ভাগনীর জামাই গ্রেপ্তার জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে নরসিংদীর মাধবদী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার সন্ধায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবীনগর সার্কেল সিরাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, বিয়ের পর থেকেই পারিবারিকভাবে অশান্তিতে ছিলেন জহিরুল। শ্বশুরবাড়ি থেকে নানাভাবে তাকে চাপে রাখা হত। আর শ্বশুর-শাশুড়ি চলতেন খালা শাশুড়ি জেকি আক্তারের পরামর্শে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা ও ২ সন্তানকে হত্যার কারণ জানাল পুলিশ

“পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তির সহায়তা চাইতে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জহিরুল নরসিংদী থেকে জেকি আক্তারের বাসায় আসেন। আলোচনায় জহিরুলের সঙ্গে জেকি আক্তারের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বটি দিয়ে জহিরুল জেকি আক্তারের মাথার পিছনে ও ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।

“বাসায় তখন জেকি আক্তারের বড় ছেলে মাহিন এবং ছোট ছেলে মহিন ঘুমিয়ে ছিল। শব্দ শুনে মাহিন জেগে উঠে এবং চিৎকার দিয়ে জহিরুলকে থামাতে যায়। তখন জহিরুল তাকেও বটি দিয়ে কোপ দেয়।

“মাহিন বাঁচার জন্য দৌঁড়ে নিজের কক্ষে ঢুকে বাাঁচার চেষ্টা করে। জহিরুল তাকে টেনেহিঁচড়ে মায়ের পাশে ফেলে আবার কোপায়। পরে মুখে গামছা দিয়ে বেঁধে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও দাবি করা হয়, এ সময় ছোট ছেলে মহিন ঘুম থেকে উঠে দরজায় দাঁড়িয়ে ছিল এবং সব দেখছিল। মহিন সব বলে দিতে পারে এই ভয়ে জহিরুল বাটাল নিয়ে তার দিকে অগ্রসর হয়। ভয়ে মহিন বাথরুমের দিকে দৌড় দেয়।

“জহিরুল বাথরুমের দরজার সামনে মহিনকে ধরে কণ্ঠনালীর নিচের দিকে বাটাল দিয়ে আঘাত করে। পরে বাথরুমে ঢুকে মহিনের মাথার ডান পাশে বাটাল ঢুকিয়ে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে বাথরুমে ফেলে রাখে।

“সবার মৃত্যু নিশ্চিত করে জহিরুল তার রক্তাক্ত লুঙ্গি ও ফুলহাতা শার্ট পরিবর্তন করেন। পরে তা পলিথিনে করে ব্যাগে নিয়ে মেইন গেট বাহিরের দিক থেকে লাগিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

পুলিশ জহিরুলের ফুলহাতা শার্টটি ভেজা অবস্থায় উদ্ধার করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সোনাহর আলী শরীফ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম স্বাগত সৌম্যের আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।






Shares