ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাল ভৈরব মন্দিরে চার দিনব্যাপী বার্ষিক যজ্ঞ মহোৎসব শুরু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনশত বছরের প্রাচীন মন্দির শ্রীশ্রী কাল ভৈরব মন্দিরে চার দিনব্যাপী সপ্তশতী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে চারদিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ মহোৎসব উদ্বোধন করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য।
দুপুর ১২টায় জীব জগতের কল্যান কামনায় সপ্তশতী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পূজারী, দর্শনার্থী ও ভক্তরা অংশ গ্রহন করেন।
চারদিনব্যাপী যজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কাল ভৈরব মন্দিরের আশেপাশে বসে লোকজ মেলা। মেলায় নাগরদোলাসহ খেলনা সামগ্রী, মাটির তৈজসপত্র সহ হরেক রকমের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে দোকানিরা।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, প্রায় তিনশত বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ফুলবাড়িয়ার দূর্গাচরণ আচার্য্য স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে শহরের মেড্ডা এলাকায় তিতাস নদীর তীরে শ্রীশ্রী কালভৈরব মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর থেকে জীব জগতের কল্যান কামনায় প্রতিবছর এই যজ্ঞ অনুষ্ঠান হয়ে আসছে।
যজ্ঞ অনুষ্ঠানের প্রধান পুরোহিত মধুসূদন চক্রবর্তী জানান, করোনা মহামারির কারণে সারা বিশ্বে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এই অস্থিরতা কাটানোর জন্য আজকে পঞ্চমুন্ডা মায়ের কাছে প্রার্থনা করা হচ্ছে। জীব জগতের কল্যান কামনায় যজ্ঞের মাধ্যমে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।
কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য বলেন, মহামারি করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে পঞ্চমুন্ডি মায়ের কাছে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। এবারে যজ্ঞ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিধি মানার বিষয়টি বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যজ্ঞকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর ন্যায় দেশ-বিদেশের ভক্তরা সমবেত হয়। করোনা মহামারির কারনে এ বছর বিদেশী ভক্তদের সমাগম হচ্ছেনা। করোনার কারণে এবার কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা অর্চনা করা হচ্ছে।