ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরকারি শিশু পরিবারের হাবিবার রাজকীয় গায়ে হলুদ সন্ধ্যা
অন্য আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের বিয়ের মতো নয়, অনেকটা রাজকীয় হালেই হতে যাচ্ছে হাবিবার বিয়ে। আলোচিত এ বিয়ের কথা এখন সবার মুখে মুখে। হাবিবার বিয়েকে ঘিরে তার দীর্ঘদিনের আবাসস্থল সরকারি শিশু পরিবারেও এখন উৎসেবর আমেজ বিরাজ করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরকারি শিশু পরিবারের দীর্ঘদিনের নিবাসী হাবিবা আক্তারের গায়ে হলুদ সন্ধ্যা। তাইতো শিশু পরিবার আজ সেজেছে বর্ণিল সাজে। বাহারি রঙের ঝাড়বাতির আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছে শিশু পরিবার প্রাঙ্গণ। উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা শিশু পরিবারের সবাই।
তবে হাবিবা এখন আর অনাথ নয়, তার বাবা-মায়ের ভূমিকা পালন করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার জনাব মো. মিজানুর রহমান ও তার সহধর্মিনী মিসেস ফারহানা রহমান। পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের ব্যক্তিগত উদ্যোগেই পুলিশ কনস্টেবল মো. জাকারিয়া আলমের সঙ্গে শুক্রবার হাবিবার বিয়ে।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে সরকারি শিশু পরিবারে হাবিবার কপালে প্রথম হলুদ ছুঁয়ে দেন তার বাবার ভূমিকায় থাকা পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমান পিপিএম (বার)। এরপর পুলিশ সুপার মহোদয়ের সহধর্মিনী মিসেস ফারহানা রহমানও মেয়ের গায়ে হলুদ ছুঁয়ে দেন পরম মমতায়।
এরপর একে একে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) দেলোয়ার হোসেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো.আবু সাইদ সহ আমন্ত্রিত অতিথিরা হাবিবার গায়ে হলুদ ছুঁয়ে দেন। গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান শেষে খাওয়া-দাওয়া ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত হন।
এদিকে হাবিবার বিয়েকে সমাজের জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান পিপিএম (বার)। পুলিশ সুপার মহোদয় বলেন, হাবিবার বিয়ে আমাদের সমাজের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা হাবিবার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। হাবিবার মতো অন্য কেউ যদি এমন সমস্যায় পড়ে আমরা তার পাশেও দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।”অনাথ হাবিবার গায়ে হলুদ সন্ধ্যা”