ব্যবসায়ী জহিরুল হক হত্যা মামলার প্রধান আসামী বসু মেম্বার পুত্র সহ গ্রেফতার
ডেস্ক ২৪:: রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জগত বাজার এলাকার সার ব্যবসায়ী জহিরুল হক হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামী বসু মেম্বারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ৫ ডিসেম্বর টেকনাফ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আরও গ্রেফতার করা হয় মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামী রাসেল মিয়াকে । উল্লেখ্য, আসামী রাসেল মিয়া এজাহারভুক্ত প্রধান আসামী বসু মেম্বারের ছেলে।
রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার সাব-ন্সেপেক্টর মোঃ আনিসুর রহমান জানান, জহিরুল হক হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত ১নং আসামী বসু মেম্বারকে ৫ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ৮ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং প্রযুক্তির সহায়তায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার দেয়া তথ্য মতে দুপুর ১২ টার দিকে অন্যতম আসামী রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মঈনুর রহমান জানান, বসু মেম্বারর নামে অত্র থানায় হত্যা সহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ নিয়ে এ হত্যা মামলার পাচ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এ রিপোর্ট লেখার পর জানতে পারলাম কথিত বসু মেম্বার জীবনে ইউপি মেম্বার হতে পারেননি। ১৯৯২ সনে এবং ২০১৬ সনে বিপুল ভোটে প্রতিপক্ষ এর কাছে পরাজিত হয়। তার নাম বশিরুল হক বশু মিঞা।।ধন্যবাদ Shakiruzzman Sheikh
পূর্বের খবর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ীকে হত্যা
রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দাড়িয়াপুরে জহিরুল হক (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত জহিরুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জগত বাজার এলাকার সার ব্যাবসায়ী। তিনি আজ সন্ধ্যার দিকে ব্যাসার কাজ শেষে সিএনজি অটোরিকশায় করে নিজ গ্রাম পয়াগ যাচ্ছিলেন। এসময় দুটি মোটরসাইকেলে করে ছয়জন যুবক এসে দাড়িয়াপুর নামক স্থানে তার সিএনজি অটোরিকশাটিকে গতিরোধ করে এলোপাতারি ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে এলাকার লোকজন এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এলাকাবাসীর ধারণা, বিগত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের সময় তিনি এলাকার সিরাজ মেম্বারের পক্ষে ছিলেন। নির্বাচনের বিরোধ নিয়ে এলাকার অপর মেম্বার প্রার্থী বাসু মিয়ার সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করে থাকতে পারে।