পাহারাদার জয়নাল আবেদীন হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড



পাহারাদার জয়নাল আবেদীন হত্যা মামলায় আব্দুল মতিন নামে একজনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার অপর আসামি হুমায়ূন মিয়াকে খালাস দেয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত মতিন সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে।
মামলার বাদী পক্ষে আইনজীবী মো. বসির আহমেদ খান জানান, জয়নাল আবেদীন দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় ভাটপাড়া গ্রামের রাজঘরের আমতলী বাজারে পাহারাদার হিসেবে কাজ করতেন। ২০১৪ সালের ১৬ জুলাই ওই বাজারের মধ্যে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী মোছা. শাহানা বেগম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় আব্দুল মতিনকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আব্দুল মতিনকে আটকের পর তিনি আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে হুমায়ূন মিয়া নামের আরেকজনের নাম বলেন। পরবর্তীতে পুলিশ মতিন ও হুমায়ূনের নামে আদালতে চার্টশিট দাখিল করে। এই হত্যাকাণ্ডের ৫ বছর পর আজ রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে আব্দুল মতিনকে ফাঁসি ও হুমায়ূন মিয়াকে খালাস দেয়া হয়।
বসির আহমেদ খান বলেন, ‘আমরা দুই আসামির ফাঁসি হবে বলে আশা করেছিলাম। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. মোবারক উল্লাহ বলেন, ‘১৬৪ ধারার জবানবন্দীর উপর ভিত্তি করে এই রায় দিয়েছেন আদালত। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব। কারণ এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই।’