দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাপা সিরাপ বিক্রি বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় দুই সহোদরের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর নাপা সিরাপ বিক্রি সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি।
শুক্রবার (১১ মার্চ) রাতে জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির ফেসবুক গ্রুপে ও পক্ষে ফার্সেমীতে গিয়ে মৌখিকভাবে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল কেমিস্টদেরকে নাপা সিরাপ বিক্রি না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অন্য প্যারাসিটামল সিরাপ দিয়ে সেবা চালু রাখার জন্য বলা হয়েছে। নতুন করে কোনো শিশুর যাতে ক্ষয় ক্ষতি না হয়- সেই চিন্তা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আমরা ঔষধ প্রশাসনের সাথে কথা বলে পরবর্তী করণীয় নির্ধারন করব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক মো: শেখ আহ্সান উল্লাহ্ জানান, এ ব্যাচের ঔষধের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। সমিতির সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তার জানা নেই।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ ইয়াছিন খান (০৭) ও মোরসালিন খান (০৫) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন স্বজনরা। মৃতরা দুর্গাপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক সুজন খানের ছেলে।
ওই দুই শিশুর মা লিমা বেগম সাংবাদিকদের জানান, ইয়াছিন ও মোরসালিনের জ্বর ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ির পাশে মা ফার্মেসি থেকে নাপা সিরাপ এনে তাদেরকে খাওয়ানো হয়। সিরাপ খাওয়ার পরই দুইজন বমি করতে থাকে। অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে তাদেরকে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং এরপর জেলা সদর হাসাপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নেওয়ার পথে রাত ৯টার দিকে ইয়াছিন এবং বাড়িতে আনার পর রাত সাড়ে ১০টায় মোরসালিনের মৃত্যু হয়।
আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুপুর সাহা জানান, ওই দুই শিশুকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। বিষক্রিয়া ছিল হয়তো। পরে স্টমাক ওয়াশের জন্য তাদের জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। কারণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুদের স্টমাক ওয়াশ করার সুবিধা নেই।