তিতাসের পরিত্যক্ত ২৪ নম্বর কূপ থেকে মিলছে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস



দীর্ঘ ২ বছর বন্ধ থাকার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের ২৪ নম্বর কূপ থেকে ফের গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। এতে করে শুক্রবার (৯ জুন) থেকে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (উন্নয়ন) মো. মাহমুদুল নবাব জানান, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড তিতাস গ্যাস ফিল্ডের মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপখনন প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালে তিতাস কূপ-২৪ খনন সম্পন্ন করে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। পরবর্তীতে কারিগরি ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি আলোচিত কূপটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড হাইড্রোকার্বন ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের অর্থায়নে বাপেক্সের কারিগরি সহায়তায় ২৪ নম্বর কূপটির ওয়ার্কওভার শুরু হয়। মাত্র ৪৫ দিন ওয়ার্কওভার অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনা করে পুনরায় ওই কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের সি ৫ থেকে সি ১০ পর্যন্ত বিভিন্ন গ্যাস জোনে মোট ১.৩ ট্রিলিয়ন ঘণফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে।
তিতাস সূত্রে জানা গেছে, কূপটির ওয়ার্কওভারে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। যার মধ্যে বাপেক্সের প্রায় ৪৭ কোটি টাকা।